স্পোর্টস ডেস্ক : টানা চার ম্যাচে হার। ছন্দে ফেরার জন্য একটা জয় দরকার ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। অবশেষে দেখা মিলেছে কাঙ্খিত সে জয়ের। ব্যাট হাতে জেসন রয়ের ফিফটির পর বল হাতে বরুণ চক্রবতীর দাপুটে বোলিংয়ে আসরের তৃতীয় জয় পেয়েছে নিতিশ রানার দল। ২১ রানে হারিয়েছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরকে।
ঘরের মাঠে টস জিতে কলকাতাকে ব্যাটে পাঠিয়েছিল বেঙ্গালোর। আগে ব্যাটে নেমে তার ফয়দা তুলেছিল নাইট রাইডার্স ব্যাটাররা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে সংগ্রহ করে ২০০ রান। জবাবে ব্যাটে নেমে ৮ উইকেটে ১৭৯ রানে থামে বেঙ্গালোরের ইনিংস। এই নিয়ে ৮ ম্যাচে তিন জয়ে টেবিলের সাতে আসল কলকাতা। সমান ম্যাচ খেলে ৪ জয়ে পাঁচে বেঙ্গালোর।
বেঙ্গালুরুতে দুর্দান্ত শুরু পায় কলকাতা। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৩ রান। ৯.২ ওভারে ২৯ বলে ২৭ রান করে ফেরেন নারায়ণ জগদীশেন। ৪ বল পরে দলীয় ৮৮ আউট হন আরেক ওপেনার জেসন রয়। ২৯ বলে ৫৬ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কলকাতার সংগ্রহ বাড়ায় নিতিশ রানা ও ভেঙ্কেটশ আয়ার। ১৭.২ ওভারে ১৬৮ রানে সাজঘরের পথ ধরেন নিতিশ। ২১ বলে ৪৮ রান করেন কলকাতা অধিনায়ক। ২ বল পরেই ফেরেন আয়ার। ২৬ বলে ৩১ রান করেন তিনি।
এরপর উনিশতম ওভারের শেষ বলে ১৮৫ রানে ফেরেন আন্দ্রে রাসেল। ২ বলে ১ রান করেন ক্য়ারিবীয় অলরাউন্ডার। শেষ অবধি রিংকুর ১০ বলে ১৮ রান ও ডেভিড ওয়াইজির ৩ বলে ১২ রানের ইনিংসে কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০০ রান।
বেঙ্গালোর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বিজয়কুমার ও হাসারাঙ্গা। মোহাম্মদ সিরাজ নেন একটি উইকেট।
জবাবে ব্যাটে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটাও খারাপ হয়নি। ২.২ ওভারে ৩১ রানে পতন হয় প্রথম উইকেটের। ডু প্লেসিস ফেরেন ৭ বলে ১৭ রান করে। ৪.৪ ওভারে দলীয় ৫১ রানে আউট হন শাহবাজ আহমেদ। ৫ বলে ২ রান করেন তিনি। চারে নামা ম্যাক্সওয়েল ছিলেন এদিন অনুজ্জ্বল। ৪ বলে ৫ রান করে ফেরেন দলীয় ৫৮ রানে।
চতুর্থ উইকেটে মহিপালকে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনিংয়ে নামা বিরাট কোহলি। ১১.৩ ওভারে ১১৩ রানে আউট হন মহিপাল। ১৮ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই ফেরেন কোহলি। ৩৭ বলে ৫৪ রান করেন বেঙ্গালোর অধিনায়ক। এরপর ধারবাহিকভাবে আরও তিন উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। শেষ অবধি ৮ উইকেটে ১৭৯ রানে থামে ইনিংস।
কলকাতার হয়ে ৩টি উইকেট নেন বরুণ চক্রবতী। দুটি করে নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও সুয়াশ শর্মা।