শীতে সর্দি-কাশি হলে কলা খাওয়া যাবে কি-না

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতকাল নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। যেমন কিছু মানুষ বিশ্বাস করে সানস্ক্রিন শুধুমাত্র গ্রীষ্মে ব্যবহার করা উচিত শীতকালে নয়। আরো যে ভ্রান্ত ধারণাগুলো আছে:

শীতে সর্দি-কাশি হলে কলা খাওয়া যাবে কি-না

** শীতকালে ব্যায়াম করা ক্ষতিকর। এই ধারণা ঠিক নয় শুধু মনে বাইরে যাওয়ার আগে ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করার সকল ব্যবস্থা নিন।

** শীতে অ্যালকোহল পান করলে শরীর গরম থাকে, এটা ঠিক কিন্তু সেটা কিছুক্ষণের জন্য উষ্ণ রাখে। শরীরকে গরম রাখতে মধ্যপান করার আসলে কোনো প্রয়োজন নেই।

** শীতে বেশি সময় বাইরে থাকলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। এই ধারণাও ঠিক নয়। এই সময় ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে সর্দি হয়। ঠাণ্ডা পরিবেশে বাইরে থাকলে সর্দি হয় না।

** শীতে অ্যালার্জি কম হয়, এটাও ভুল।

সর্দি-কাশিতে কলা খাওয়া যাবে? 

সর্দি-কাশি হলেই কলা খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকে। ঠাণ্ডা বেড়ে যাবে এই ভয়ে। কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। আরো প্রচুর পুষ্টি উপাদান আছে। যেমন: কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ইত্যাদি। কলা শরীরে পানির অভাব পূরণ করে। একটি কলা খেলে ১০০ ক্যালরি শক্তি যোগাবে শরীরে।

অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে কলা খাওয়া যেতে পারে। কলাকে ঠাণ্ডা খাবার হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ, মিউকাস এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই অনেকে বিশ্বাস করে যারা ইতিমধ্যেই সর্দি, কাশি এবং জ্বরের সাথে লড়াই করছে এবং এই অবস্থায় কলা খেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

কলা উচ্চ হিস্টামিনযুক্ত খাবারগুলোর মধ্যে একটি। এই হিস্টামিন বুকে শ্লেষ্মা উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই সাধারণ ধারণা করা হয় কলা শ্লেষ্মা নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়।

এটি স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিদায়ক কিন্তু শীতের রাতে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। বিকালে কলা খেতে পারেন। যারা কাশি এবং সর্দি বা অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত তাদের কলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি শ্লেষ্মা বা কফের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

আপনি যদি ২-৩ দিন ধরে সাধারণ সর্দি-কাশি বা জ্বরে ভুগছেন তবে আপনি একটি পাকা কলা সপ্তাহে ৩-৪ বার খেতে পারেন। যদিও কলায় হিস্টামিনের পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু আপনি যদি ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শ্লেষ্মা, চুলকানি, ফুসকুড়িসহ অ্যালার্জির লক্ষণগুলো থাকে হিস্টামিনের ভারসাম্যে বজায় রাখার জন্য, কলার মতো উচ্চ হিস্টামিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com