বিনোদন ডেস্ক : রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের ২৪তম আসর বসেছিল শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর)। এ দিন জমকালো আয়োজনে তারকাদের হাতে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
গত বছর ‘পরাণ’র সিনেমার কারণে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন শরিফুল রাজ। চলতি বছরের ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’-এ সমালোচক ও তারকা জরিপ দুই বিভাগেই মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। প্রত্যাশা ছিল, যেকোনো একটি বিভাগে হলেও পুরস্কারটি পাবেন এই অভিনেতা। আর সেই পুরস্কার গ্রহণ করতে মঞ্চে তার সঙ্গে থাকবেন চিত্রনায়িকা পরীমণিও। এমনটাই পরীকে বলে রেখেছিলেন রাজ।
শুক্রবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ-পরী। সন্ধ্যা ছয়টায় অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে রাজ্যকে কোলে নিয়ে হাজির হন পরীমণি। তবে অনুষ্ঠান উপভোগ করলেও রাজ্যকে খাওয়ানোর জন্য অনেকটা সময় মঞ্চের পেছনে গ্রিনরুমে কেটেছে তার।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত হন রাজ। এসেই পরীর কোল থেকে রাজ্যকে নিয়ে দুজন পাশাপাশি বসেন কিছুক্ষণ। এরপর মঞ্চের বাঁ পাশে গিয়ে দাঁড়ান। তারকা জরিপ বিভাগের পুরস্কার ঘোষণার আগপর্যন্ত সেখানেই দাঁড়িয়েছিলেন রাজ।
এরপর আসে সেই আনন্দঘন মুহূর্ত— তারকা জরিপ ক্যাটাগরির পুরস্কার ঘোষণার পালা। পরীমণি তখনও মঞ্চের পেছনে গ্রিনরুমে বসে রাজ্যকে খাওয়াচ্ছেন আর পর্দায় সরাসরি অনুষ্ঠানটি দেখছেন।
এ সময় এক প্রতিবেদকের কাছে পরী জানতে চান, রাজ তো পুরস্কার পাচ্ছে, তাই না? আমারও প্রত্যাশা এই বিভাগে রাজই পুরস্কার পাবে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আমাকে রাজ বলেছে, পুরস্কার পেলে মঞ্চে গিয়ে আমাকে গ্রহণ করতে হবে পুরস্কার। পেলে অবশ্যই মঞ্চে যাব আমি। তবে রাজ-পরীর সে আশায় যেন জল পড়ে গেল।
মঞ্চে তারকা জরিপ ক্যাটাগরিতে রাজের নাম নয়, চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন আফসানা মিমি ও জাহিদ হাসান।
বিজয়ীর নাম শোনার পর পরীমনি নিজের মুখ চেপে ধরে অবাক হয়ে বলেন, ইশ, এটা কী হলো? রাজের খুব প্রত্যাশা ছিল এই পুরস্কার সে পাবে। কয়েক দিন ধরে সিনেমার শুটিং করছে, কিন্তু মন পড়ে আছে এই অনুষ্ঠানে, এই পুরস্কারে। কথা শেষ করেই যতক্ষণে পরীমণি গ্রিন রুমের বাইরে আসেন, রাজ ততক্ষণে বের হয়ে গেছেন।
রাজকে না পেয়ে আফসোস করে পরী বলেন, পুরস্কার পায়নি তো কী হয়েছে। ভালো কাজ করতে থাকলে একসময় না একসময় পুরস্কার পাবেই।