কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফে চাকমারকূল রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০-৭০টি ঝুপড়ি (ছোট) ঘর পুড়ে গেছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরের ওমান সাইডে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে ৫৪টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা শিবিরটির ডি ব্লকের (ওমানি সাইড) রোহিঙ্গা আমির হাকিমের বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। শিবিরের ঘরগুলো ঝুপড়ি ও লাগোয়া হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তে ছড়িয়ে যায়। এতে ডি ১ ও ডি ২ ব্লকের আনুমানিক ৬০-৭০ টি ঘর পুড়ে যায়। পরবর্তীতে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ও উখিয়া ফায়ার সার্ভিস একটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সঠিকভাবে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে জানতে না পারলেও রান্নার সময় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান। শিবিরে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে রহস্যজনক মনে করছেন অনেকে। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যায়। তবে দুইজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে টেকনাফের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফালুন হক চৌধুরী বলেন, চাকমারকুল রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একটি এনজিওর নারী কেন্দ্রে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এর আগে ১৮ এপ্রিল রাতে লেদার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আগুনে ৩৯টি ঘর পুড়ে গেছে। তারও আগে ৫ মার্চ দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ঘরসহ ২ হাজার ৮০৫টি নানা স্থাপনা এবং ১৫ হাজার ৯২৫ জন রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।