ঢাকা : আন্দোলনকে দেশের জনগণের বেঁচে থাকার লড়াই উল্লেখ করে জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, এই লড়াইটা দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে, তাহলে দেশের জনগণ বাঁচবে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ধামরাইয়ের কালামপুরে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় যুবদল আয়োজিত, প্রতিনিধি সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদল সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশের যে সমস্যা এই সমস্যা শুধু বিএনপির একার সমস্যা না। এটা সারাদেশের সকল জনগণের সমস্যা। মানুষ তিনবেলা ঠিকমত খেতে পারছে না। দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। তাই এই লড়াই হচ্ছে দেশের মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই। এ লড়াই সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে তাহলে দেশের জনগণ বাঁচবে। তা না হলে, না খেয়ে মরতে হবে।
টুকু বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা থাকার জন্য গণতন্ত্রকে সর্বস্তরে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের ভোটের আজ অধিকার নেই। এই সরকারের আমলে দেশে মানবাধিকার নেই।
এসময় তিনি আরও বলেন, যতই গুম করা হোক, খুন করা হোক, নির্মম নির্যাতন-নিপীড়ন করা হোক শহীদ জিয়ার সৈনিক, খালেদা জিয়ার সৈনিক, দেশনায়ক তারেক রহমানের সৈনিকরা পিছু হটবেনা। সকল ভেদাভেদ ভুলে আমাদের লক্ষ্য একটি এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাবনা।
তিনি বলেন, আজকে একটাই দাবি এই ফ্যাসিষ্ট সরকারকে বিদায় নিতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। সে নির্বাচনে জনগণ নিজের হাতে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। তাহলে এ দেশের জনগণের রায়ে পরবর্তী সরকার হবে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার। তারেক রহমানের সরকার।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ঢাকা বিভাগ যু্বদলের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদসহ ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলার অর্ন্তগত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।