র্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে র্যাব সদস্যরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জঙ্গি দমনে র্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে র্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাবের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কিছু লোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান জানিয়েছেন, র্যাবের ওপর যখন নিষেধাজ্ঞা আসে তখন অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিল, তবে তিনি বলেছেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দেশ র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। অনেকে তখন ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রথমে সবাই বোধহয় মন খারাপ করেছিল। তবে এখন আর চিন্তা নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালিয়ে একটি বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। কোন উদ্দেশে তারা এটা করেছে সেটাও বের করতে হবে।’
র্যাবের কেউ অপরাধ করে পার পাবে না জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি যেহেতু সরকারে আছি কে ভালো করছে, কে মন্দ করছে সেটা আমি দেখব। কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। পরের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো বাবা-মায়ের।
সন্তান কাদের সাথে মিশছে সেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতেও অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় পুনর্বাসনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির পর ১ হাজার ৮০০ অস্ত্রধারী আমার হাতে অস্ত্র সমর্পণ করেছিল। তাদের সকলকেই আমি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিই। দস্যু বা জঙ্গিবাদের সাথে জড়িতদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে হবে।