আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নারীদের এনজিওতে কাজ করা নিষিদ্ধ করার পর তিনটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা আফগানিস্তানে তাদের কাজ বন্ধ রেখেছে
আফগানিস্তানে তালেবান কর্তৃপক্ষ নারীদের এনজিওতে কাজ করা নিষিদ্ধ করার পর তিনটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সেদেশে তাদের কাজ বন্ধ রেখেছে।
এক যুক্ত বিবৃতিতে কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, নারী কর্মী ছাড়া তাদের পক্ষে আফগানিস্তানে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
সাহায্য সংস্থাগুলো দাবি জানিয়েছে, আফগানিস্তানে তাদের প্রতিষ্ঠানে যেন নারী কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হয়।
আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের নিষিদ্ধ করার কয়েক দিন পরই এনজিওতে মেয়েদের কাজ করা নিষিদ্ধ করা হয়।
তালেবানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আবদেল রহমান হাবিব বলেছেন, বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোতে যে নারীরা কাজ করে, তারা হিজাব না পরে নিয়ম ভঙ্গ করেছে।
তালেবান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যেসব সংস্থা তাদের বিধি-নিষেধ মানবে না, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
কেয়ার, এনআরসি এবং সেভ দ্য চিলড্রেন তাদের বিবৃতিতে আফগানিস্তানে নারী এবং পুরুষ যেন সমানভাবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে কাজ করতে পারে, সেই আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘের একজন শীর্ষস্থানীয় সমন্বয়কারী রামিজ আলাবারকভ বলেন, জাতিসংঘে নারীদের কাজ করার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেওয়া হয়, সেই লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর জন্য তালেবানের এই সিদ্ধান্ত একটা চরম সীমা।
এক জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেছেন, তালেবান তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে জাতিসংঘ সেদেশে মানবিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
নরওয়েজিয়ান সংস্থা এনআরসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানে তাদের সংস্থার ১৪শ কর্মীর মধ্যে পাঁচ শ’ জনই নারী। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ঐতিহ্য, পোশাকের রীতি মেনেই এরা সেখানে কাজ করছিল।
সূত্র : বিবিসি