ঢাকা : বিশ্বে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও অভিবাসন খাতে আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনা মহামারির পর ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাওয়ায় চলতি বছর চট্টগ্রাম থেকে বিদেশ যাওয়ার রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বেড়েছে রেমিট্যান্সও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধ পথে ভাগ্য বদলাতে যারা বিদেশ যান, তারাই পড়েন অনিশ্চয়তায়।
তবে কাজের দক্ষতা অর্জন করে, বিদেশে গেলে তেমন ঝুঁকি থাকে না।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ। তবে আশার কথা, ভিসা জটিলতা কেটে যাওয়ায় গত এক বছরে চট্টগ্রাম থেকে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক গিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে।
অভিবাসন খাত বিশ্লেষক আসিফ মুনির ও মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, কাজের দক্ষতা অর্জন করে বিদেশ পাড়ি দিলে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অবৈধ পন্থায় ভাগ্য বদলাতে যারা বিদেশ যাচ্ছেন, তারা পড়ছেন অনিশ্চয়তায়।
চট্টগ্রাম জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, গত কয়েক বছর বিদেশের শ্রমবাজার মন্দা গেলেও এ বছর বাংলাদেশ থেকে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮০২ জন। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম থেকেই গেছেন ৩০ হাজার ২০৬ জন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাই রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য সরকারের উচিত দক্ষ শ্রমিক গড়ে তোলা ও নতুন নতুন দেশে শ্রমবাজারের দুয়ার উম্মোচন করা।