‘২৫ হাজারের জন্য কোমরে দড়ি, ২৫ কোটির জন্য কেন নয়’

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা: ব্র্যাক ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চেকের মামলার আসামি ভুক্তভোগী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মাদ আলীর মামলা শুনানির সময় আদালত বলেছেন, ‘২৫ হাজার টাকার জন্য কৃষকের কোমরে দড়ি দেন। আর ২৫ কোটি টাকা আদায়ের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেন না কেন? এটা কেন। গ্রাহকদের কাছ থেকে চেক নিয়ে সেই চেকে এসব স্বাক্ষর করে কে?’

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের বিপরীতে গ্রহণ করা চেক ডিজঅনার বিপরীতে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালতে। এদিন এ মামলাটি চেম্বার আদালতের ৪নং তালিকায় ছিল।

বিচারপতি ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন। পরে হাইকোর্ট এর ওপর নো অর্ডার দেন। অর্থাৎ হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। আগামী ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আবেদন শুনবেন।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর সারাদেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের বিপরীতে গ্রহণ করা চেক ডিজঅনার বিপরীতে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আপিলকারীর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। ঋণ হিসেবে নেওয়া মোট টাকার ৫০ ভাগ আগামী দশ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। প্রতিটা ঋণের বিপরীতে ইনস্যুরেন্স করতে আইন প্রণয়নে জাতীয় সংসদকে পরামর্শ ও বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশের সব আদালতকে ঋণের বিপরীতে চেক ডিজঅনার মামলা আমলে না নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওইদিন এক আপিল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। ওই দিন আদালতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ আল বাকী। তাকে সহযোগিতা করেন ওয়াহিদা আফরোজ চৌধুরী, আইনজীবী কায়েদে আজম ইকবাল, অ্যাডভোকেট শাহীনুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ব্র্যাক ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর শাখা থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণের কিছু টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়। শুনানি শেষে বিচারিক আদালত মোহাম্মাদ আলীকে ছয় মাসের সাজা এবং দুই লাখ ৯৫ হাজার ৩০৫ টাকা জরিমানা করেন। এই রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন মোহাম্মদ আলী। শুনানি শেষে আদালত আলোচিত এই রায় দেন।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com