উল্লেখযোগ্য সেনা হারানোর কথা স্বীকার রাশিয়ার

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ২৫ মার্চ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ১ হাজার ৩৫১ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে। তবে ইউক্রেন দাবি করছে, রুশ সেনা নিহত হয়েছে ১৯ হাজার। পশ্চিমা নেতারা বলছে, যুদ্ধে ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ৪৪তম দিনে এসে উল্লেখযোগ্য সেনা হারানোর কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই সামরিক ক্ষয়ক্ষতি আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক।

তিনি একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, সামনের দিনগুলোতে যুদ্ধের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে মস্কো।

পেসকভের মন্তব্য এমন সময় এলো যখন রাশিয়াকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার সদস্যপদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার এক সংক্ষিপ্ত রেজোলিউশনে ইউক্রেনে চলমান মানবাধিকার এবং মানবিক সংকটের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছিল, রাশিয়ান ফেডারেশন ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাই মানবাধিকার সংস্থায় তাদের থাকা উচিত নয়।

ইউক্রেন বলছে, রুশ সেনারা দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, বুচায় সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, বিভিন্ন বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

তবে রুশ সেনাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমরা আসলে নকল ও মিথ্যার যুগে বসবাস করছি।

এদিকে গত ২৫ মার্চ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ১ হাজার ৩৫১ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে। তবে ইউক্রেন দাবি করছে, রুশ সেনা নিহত হয়েছে ১৯ হাজার। পশ্চিমা নেতারা বলছে, যুদ্ধে ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।

তবে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের দাবিই নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

দিমিত্রি পেসকভ ২০০০ সাল থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া যুদ্ধ শেষ করার উপায় খুঁজছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনারা যুদ্ধ শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com