ঢাকা : মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান গণহত্যা মামলায় অর্থ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি কানাডা ও নেদারল্যান্ডসও অর্থ সহায়তায় উৎসাহ দেখিয়েছে।
শনিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সংস্থাগুলোর আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর চেয়ে বাংলাদেশিদের মতো সুযোগ-সুবিধা দিতে বেশি আগ্রহী। রোহিঙ্গাদের নামে আনা টাকাও যথাযথ খরচ হচ্ছে না বলেও তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ইউএনসিআর, ইউএনডিপি, ইউনেস্কোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ফোকাস থাকা উচিত রাখাইন প্রদেশের উপর। রাখাইনে যাতে তারা স্বেচ্ছায় যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। কিন্তু তারা শুধু খেয়াল রাখে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ভালো অবস্থানে আছে কি না। রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে সুন্দরভাবে রাখা, এ দেশে চাকরি দেওয়া, এ দেশে অন্য বাঙালিদের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়েই ওই সংস্থাগুলো ব্যস্ত। রোহিঙ্গাদের নামে টাকা আনে, কিন্তু মিয়ানমারে কোনো কাজ করে না।
মোমেন বলেন, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা অঙ্গীকার করেছেন, কিছু টাকা-পয়সা দেবেন, যাতে আমাদের মামলাটা চলমান থাকে। নেদারল্যান্ডস, কানাডা ওআইসির সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র না। তবুও এ ব্যাপারে তারা কিছুটা উৎসাহ দেখিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এক চিঠিতে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অসুস্থতার কারণে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন না বলেও জানান ড. এ কে আবদুল মোমেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নে ২০১৭ সালে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ শুরু করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা আড়াইশোর বেশি। নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে, এসব সংস্থা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আদতে কতটা কাজ করছে।