ঢাকা : পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করছে পরবর্তীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত। এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষার্থীদের আলোচনার মাধ্যমে খুব দ্রুতই শাবিপ্রবির সংকট নিরসন করা হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় শিক্ষাক্ক্রম পাঠ্য পুস্তক বোডে আলোচনা সভা শুরুর আগে এমনটা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুদের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকেই দু সপ্তাহের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল বন্ধের যে নির্দেশনা আমরা পেয়েছি, এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা চলাচল করবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও ক্লাসে ফিরবেন তারা। তবে শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে যোগ দিতে পারবেন।
কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে। এসময় তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে রাতে আলোচনা করবো।
সব কিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি ফলপ্রসু হবে কি না তা নির্ভর করবে আমাদের সবার ওপর। এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
নতুন কারিকুলাম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামের অধীনে পাইলটিং করা হবে ৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।