শিরোনাম
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার এপিএসের বিশেষ অঞ্চলপ্রীতি দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ বাড়বে ৯ নদীর পানি, ডুবতে পারে ৬ জেলার নিম্নাঞ্চল সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ছাড়ালো ১২’শ কোটি গুমের মামলায় হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ ৭১ ইস্যুতে ইসহাক দারের মন্তব্যে একমত নয় ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগে বড় নিয়োগ সব নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ও পুলিশি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যতমুখী সম্পর্ক চায় পাকিস্তান

সব নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ও পুলিশি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

ঢাকা : ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সেনাবাহিনী শুধু ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ নয়, অন্যান্য বাহিনীর মতো পূর্ণ ক্ষমতায় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে। এজন্য আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ) সংশোধন করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রস্তাব পাঠাতে যাচ্ছে ইসি। নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীকে নির্বাচনি দায়িত্বে পূর্ণ ক্ষমতা দিতে চায়। ফলে ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার ওপরে নয়, সেনাবাহিনী স্বাধীনভাবেই নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে পারবে। নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদের এ তথ্য জানিয়েছেন। শুধু জাতীয় নির্বাচনই নয়, সব নির্বাচনেই সেনাবাহিনী চায় ইসি।

তিনি বলেন, “আমরা আরপিও সংশোধন করে সেখানে ল’এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি হিসাবে সেনাবাহিনীকেও অন্তর্ভুক্ত করেছি। আগে ছিল না। আগে শুধু পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ছিল। এখন সেনাবাহিনীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হলো। প্রস্তাবটি এ সপ্তাহের মধ্যেই সরকারের কাছে পাঠানো হবে।”

এ বিষয়ে একটা খসড়া এই সপ্তাহের মধ্যেই যাবে বলে জানান তিনি।

১৬ বছর আগে আরপিওর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকা থেকে সেনাবাহিনীকে বাদ দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন ও বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সামনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী পূর্ণ ক্ষমতায় দায়িত্ব পালন করলে ভোটারদের মনে আস্থা ফিরে আসবে।

২০০১ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম আরপিও সংশোধন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগগুলো বা সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ আরপিওর ৮৭ অনুচ্ছেদে এই বিধান যুক্ত করে বলা হয়, ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনকালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা না হয়েও নির্বাচনি অপরাধের জন্য কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন। ২০০১ সালে এই বিধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে আরপিওতে যুক্ত করা হয়।

শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নয়, পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনগুলোতেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার ওই সংশোধনী অধ্যাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকে প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ বাদ দেয়৷ এর ফলে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি, কোস্ট গার্ডের যে ক্ষমতা তা সশস্ত্র বাহিনীর থাকেনি।

নির্বাচন কমিশন এবার আরপিওর যে সংশোধনী প্রস্তাব পাঠাচ্ছে তাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচনেই সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে৷ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি অনুসারে এই প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে৷ নির্বাচন কমিশনের এই প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাস্তব রূপ পাবে৷ ইসি মাছউদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে এ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে৷’

এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেড় লাখের মতো পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর বাইরে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারও থাকছে। আর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ১১ আগস্ট সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে ৮০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন বিষয়ক আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, “আগে তো সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করতো। তাতে যা হতো তারা চাইলেও নিজেরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারতো না৷। ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর নির্ভর করতে হতো। এখন যদি আরপিও সংশোধন করে তাদের নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয় তাহলে তারা স্বাধীনভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে।”

ইসি মাছউদ বলেন, “নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। আমরা মনে করেছি তাই শুধু জাতীয় নির্বাচনে নয়, সব নির্বাচনেই সেনাবাহিনী থাকা দরকার৷ সেই কারণে এটা সরকারের ইচ্ছাধীন না রেখে আমরা একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসেছি৷ এখন নির্বাচন কমিশন অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো সেনাবাহিনীর সঙ্গেও আলাপ আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ফোর্স চাইতে পারবে৷ আর তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের দায়িত্বই পালন করতে পারবে৷ এটা এখন আইনের অধীন হলো।”

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com