ঢাকা: ‘জুলাই চেতনার স্পিরিট নষ্ট করে উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা এখন সরাসরি চাঁদাবাজিতে লিপ্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদ ও আহতদের অমর কীর্তিগাথা স্মরণে” আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনার দুঃশাসন ফিরে আসুক তা কেউ চায় না উল্লেখ করে রিজভী বলেছেন, “দেশের সরকারি দপ্তরগুলোতে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকারি অফিসগুলোতে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে দেশ অশান্ত করার পরিকল্পনা করছে। অনেককে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। অনেকে ফোন করে জিজ্ঞেস করছে এখন কী করব। এটা ভীষণ লজ্জার। এটা দেখার জন্যই কি গণঅভ্যুত্থান ঘটেছিল, আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধরা জীবন দিয়েছিল?”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “দেশকে পরিকল্পিতভাবে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন যাতে না হয় সে ব্যাপারে ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে আপনাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “জুলাই চেতনার স্পিরিট নষ্ট করে এখন সরাসরি উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা চাঁদাবাজিতে লিপ্ত। সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হচ্ছে। অথচ গণঅভ্যুত্থানে নিহত আহতদের পরিবার নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা কেউ কোনো সহযোগিতা পাচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর পর এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না।”
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় সাজা দিয়েছিল। অথচ শেখ হাসিনা শেখ রেহেনা, তাদের ভাগিনা-ভাগ্নিসহ পুরো শেখ পরিবার লুটপাট করে, অর্থ প্রচার করে ব্যাংক খালি করে দিয়েছে।”
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম চলমান থাকাকালীন গত বছরের জুলাই আগস্টে আবাবিল পাখির মতো স্কুল কলেজ মাদ্রাসা থেকে ছোট ছোট বাচ্চারা এসে হাসিনাকে উৎখাত করেছে। যদি আমরা ঐক্য ধরে রাখতে পারি তাহলে কোনোভাবেই বিভাজন সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না, কোনোভাবেই হাসিনার দুঃশাসন ফিরবে না।”
রিজভী বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক তার অধিকার ফিরে পাবে, দল মত নির্বিশেষে আদালত সবার সুবিচার নিশ্চিত করবে, পুলিশ দেশের হয়ে কাজ করবে, এটাই গণতন্ত্র। আগামীর বাংলাদেশের এটাই চাওয়া।”