উইকেট খানিকটা ধীরগতির হওয়ার পরও ১৬৪ রান তাড়ায় ৫ ওভার গুজরাট টাইটান্সের দুই ওপেনার তুললেন ৪৭ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে শুভমান গিলকে হারায় বর্তমান রানার্স আপরা। অধিনায়ককে হারানোর পর আর ছন্দ খুঁজে পায়নি গুজরাট। গিলের দলকে চেপে ধরে পেসার ইয়াশ ঠাকুর নিলেন ৫ উইকেট, সাথে ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। মার্কাস স্টইনিসের হাফ সেঞ্চুরিতে মাঝারি পুঁজি পাওয়া লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে ঠাকুর এবং ক্রুনালের বোলিং নৈপুণ্যে। গুজরাটকে ৩৩ রানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয়ের দেখা পেয়েছে লোকেশ রাহুলের দল। ফলে পয়েন্ট টেবিলের তিনেও উঠে এসেছে লক্ষ্ণৌ।
১৬৪ রান তাড়ায় শুরুট বেশ ভালো করেছিলেন গুজরাটের দুই ওপেনার সাই সুদর্শন এবং গিল। তাদের দুজনের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ঠাকুর। ডানহাতি এই পেসারের লেগ স্টাম্পে করা দ্রুতগতির ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন গুজরাটের অধিনায়ক। তবে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হতে হয়েছে ২১ বলে ১৯ রান করা গিলকে। তিনে নেমে দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে নামা কেন উইলিয়ামসন।
নিউজিল্যান্ডের তারকা এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন রবি বিষ্ণই। তরুণ এই লেগ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের টসড আপ ডেলিভারিতে তারই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১ রান করা উইলিয়ামসন। দেখেশুনে খেলতে থাকা ওপেনার সুদর্শনও আউট হয়েছেন একটু পরই। ক্রুনালের লেগ এবং মিডল স্টাম্প বরাবর শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়েছেন তিনি। বিষ্ণইয়ের ক্যাচে ফিরতে হয় ২৩ বলে ৩১ রান করা সুদর্শনকে।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি গুজরাট। বেলুর রবি শরথ থেকে শুরু করে দর্শন নালকান্দে, বিজয় শঙ্কর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে গুজরাটের হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছেন রাহুল তেওয়াতিয়া। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে করেছেন ৩০ রান। মারকুটে ব্যাটার হিসেবে পরিচিত হলেও লক্ষ্ণৌর বোলারদের বিপক্ষে নিজের সহজাত ব্যাটিং করতে পারেননি তেওয়াতিয়া।
ইনিংসের ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে নূর আহমেদকে ফেরান ঠাকুর। আফগানিস্তানের এই ক্রিকেটারকে নিজের শিকার বানিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। চলমান আইপিএলে প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিয়েছেন তরুণ এই পেসার। এ ছাড়া মিতব্যয়ী বোলিংয়ে ক্রুনাল ছিলেন দুর্দান্ত। ওভারপ্রতি ২.৭৫ রান দিয়ে ৪ ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন বিষ্ণই এবং নাভিন উল হক।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়েছেন কুইন্টন ডি কক। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা প্রোটিয়া এই ওপেনার ফিরেছেন ৬ রানে। তিনে নেমে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি দেবদূত পাডিকাল। ধীরগতিতে রান তোলা রাহুল ফিরেছেন ৩১ রানে। এরপর দলের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন স্টইনিস। আউট হয়েছেন অবশ্য ৫৮ রানে। শেষদিকে নিকোলাস পুরানের ৩২ এবং আয়ুশ বাদোনির ২০ রানের সুবাদে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় লক্ষ্ণৌ। গুজরাটের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নালকান্দে এবং উমেশ যাদব।