আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান দেশগুলোতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির দূত এবং উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ শুক্রবার বলেছেন, হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া বন্দিদের সম্পর্কে রাশিয়া কিছুই জানে না।
রাশিয়ান জিম্মিদের সম্পর্কে তাসকে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমাদের কাছে এ নিয়ে কোনো তথ্য নেই। জিম্মিদের সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তাছাড়া, আমরা দাবি করেছি হামাসকে অবশ্যই এ বিষয়ক তথ্য রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটিকে জানাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি করবে এমনটা কথা ছিল। আমরা সরাসরি এতে অংশ নিতে পারি না। তবে হামাস জানিয়েছে, ক্রমাগত বোমা হামলার মধ্যে রেড ক্রসের প্রতিনিধিরা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি সমাধান করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তত কয়েক ঘণ্টার জন্য বিমান হামলা বন্ধ করা প্রয়োজন, যেমনটি আমেরিকানদের মুক্তি দেওয়ার সময় করা হয়েছিল।’
এর আগে, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ‘সমঝোতা চুক্তি’র জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য গাজি হামাদ এনবিসি নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
হামাদ বলেন, ‘আমরা চাই এই মানুষগুলো বাড়ি ফিরে যাক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও, আমরা চাই আমাদের বন্দিরাও এবার বাড়ি ফিরুক। আমি মনে করি, ‘আমরা এখন সম্পূর্ণ সমঝোতা করতে বা একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।’
তবে তিনি শর্ত আরোপ করে বলেন, ‘এর জন্য ইসরায়েলি ডিটেনশন সেন্টার থেকে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।’ হামাদ বলেন, ‘হামাস যোদ্ধারা কখনোই বেসামরিক মানুষকে হত্যা করতে চায়নি। আমাদের ইসলামের ধর্মে কোনো বেসামরিক নাগরিকের ক্ষতি করা বা হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আরও চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এ নিয়ে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর হামাসের হাতে মোট ২৩ জন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারাল। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।