গাজা মৃত্যুপুরী, নিহত ২৬৫০

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনে ব্যাপক হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। দুপক্ষে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৫০ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ইসরাইলে নিহত হয়েছে ১৩০০ এবং ফিলিস্তিনে ১৩৫০। খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় ও ইসরাইলের নির্বিচারে হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর।

জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। আপাতত জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে সেটিও বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় জাতিসংঘের অন্তত ৯ কর্মী নিহত হয়েছেন। গাজায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলি সেনাদের হামলায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে অন্তত ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৯ জন।

এদিকে বিরোধী নেতা বেনি গান্তজকে নিয়ে যুদ্ধকালীন জরুরি ঐক্য সরকার গঠন করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস কয়েক বছরের মধ্যে ইসরাইলের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। ইসরাইলের ভূখণ্ডে পাঁচ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা করে সংগঠনটি। এ রকেট হামলার ৫ ঘণ্টা পর জনগণের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধের ঘোষণা দেন।

ইসরাইল-হামাসের চলমান যুদ্ধে গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে সংকট বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় উদ্বাস্তুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইনি রেফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com