ঢাকা: আজকে সাংবাদিকতা সবচেয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জের পেশা বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রয়াত সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেছেন, সেখানে আত্মবিশ্বাসের জায়গায় লড়াই করে গেছেন হাবিবুর রহমান। পেশাগত জায়গায় হাবিব ছিলেন নির্মোহ অবিচল।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্রয়াত সাংবাদিক, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিবুর রহমান খানের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেবল সাংবাদিক হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে হাবিব ছিলেন অনন্য, যাকে না ভালোবেসে পারা যায় না। কেবল তাই নয়, পেশাগত জায়গায় তিনি ছিলেন নির্মোহ। সত্য প্রকাশে অদম্য ও অবিচল।’
ভারাক্রান্ত কণ্ঠে ফখরুল বলেন, হাবিবের স্মৃতিসভায় এসে কথা বলতে হবে এটি কখনো ভাবিনি। অল্প সময়েই তার বন্ধুসুলভ ব্যবহার আমাকে বিমোহিত করেছে। সে এক সময় ছাত্রদলের রাজনীতি করলেও সাংবাদিকতার সঙ্গে রাজনীতিকে মেলাত না। পেশাগত চেতনায় আত্মবিশ্বাসী থেকে সত্য প্রকাশে দ্বিধা করত না।
মির্জা ফখরুল বলেন, এত অল্প বয়সে তার চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া কষ্টের। দেশের আজকের প্রেক্ষাপটে তার মতো একজন স্পষ্টবাদী সাংবাদিকদের খুব প্রয়োজন ছিল।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, খুব আক্ষেপ হয় আমি তার জানাজায় যেতে পারিনি, বাসায় গিয়ে পরিবারের খোঁজ নিতে পারিনি। তবে আমার বিশ্বাস, অনেক কষ্টের মধ্যেও তার পরিবার উঠে দাঁড়াবে। আমরাও সব সময় তার পরিবারের পাশে আছি। যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, পরপারে আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হাবিবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, হাবিব আমাদের আগে চলে যাওয়ার কথা নয়। সে বয়সে আমার ছোট হলেও কর্মে ছিল অনেক বড়। মৃত্যুর দুই দিন আগেও একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হলো। তখন বুঝিনি হাবিবের সাথে সেটাই হবে আমার শেষ দেখা। রাজনীতিবিদদের সাথে সাংবাদিকদের ভালো সম্পর্ক থাকে। এ সম্পর্ক বজায় রাখতে হাবিবের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। ১/১১-এর দুঃসময়ে তার নির্ভীক দায়িত্ব অন্য সাংবাদিকদেরও অনুপ্রাণিত করেছে।
সাংবাদিক মঈন উদ্দিন খানের পরিচালনায় শোকসভায় বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, তাবিথ আউয়াল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, রফিক সিকদার, যুবদল নেতা মাহবুবুল হাসান পিংকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ। প্রয়াত হাবিবুর রহমানের স্ত্রীও স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে মহিউদ্দিন খান মোহন, সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ, খুরশিদ আলম, মুরসালিন নোমানী, ইলিয়াস হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাশেদুল হক বক্তব্য দেন।
প্রয়াত সহকর্মীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন চৌধুরী, হাসান শিপলু, গাউছুল আজম বিপু, আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, মাহমুদুল হাসান, রুমানা জামান প্রমুখ।