নিজস্ব প্রতিবেদক: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করা ছাড়াও সাতটির বদলে পাঁচটি গ্রেড করাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক পরিষদ, বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশন ও ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্ট ওয়ার্কাস যৌথভাবে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বরের ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমানে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা। আগামী ২৫ নভেম্বর এই ঘোষণার পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। তবে এই পাঁচ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, আলু, রসুন, মাছ-মাংস, তরিতরকারি ছাড়াও শিক্ষা, চিকিৎসা, বাড়িভাড়া ইত্যাদির খরচ বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ বা তারও বেশি। সেই তুলনায় শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, বরং বর্তমান ডলারের মান হিসাব করলে শ্রমিকদের মজুরি কমেছে এবং মালিকদের মুনাফা অনেক বেড়েছে।
এই অবস্থায় বর্তমান বাজারমূল্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, বর্তমানে শ্রমিক যে মজুরি পায় তা নিয়ে শ্রমিকদের সংসার চালানো সম্ভব নয়। ধারকর্য করে সংসার চালাতে হয়, না খেয়ে শ্রমিকদের কাজ করতে হয়, অনেক শ্রমিক কারখানার ছুটির পর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করেন।
পোশাক শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো: সাতটি গ্রেডের পরিবর্তে পাঁচটি গ্রেড করতে হবে; এক ও দুই নম্বর গ্রেড স্টাফদের জন্য করতে হবে; তিন নম্বর গ্রেড (অভিজ্ঞ অপারেটরসহ) শ্রমিকদের জন্য ২৮ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি করতে হবে; চার নম্বর গ্রেড (জুনিয়র অপারেটর বা কম অভিজ্ঞ) শ্রমিকদের জন্য ২৬ হাজার টাকা করতে হবে; পাঁচ নম্বর গ্রেড হেলপারদের জন্য ২৩ হাজার টাকা করতে হবে; মূল মজুরি ৬৫ শতাংশ এবং বাড়িভাড়া ৩৫ শতাংশ করতে হবে এবং শ্রমিকদের আইডি কার্ডে (পরিচয়পত্র) গ্রেড উল্লেখ করে দিতে হবে।