ফের অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর, কারফিউ জারি

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের অশান্ত মণিপুরে আবারও জারি করা হয়েছে কারফিউ। ইম্ফলের পূর্বাঞ্চলে ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তড়িঘড়ি তুলে নেয়া হল সেই কারফিউ শিথিলতা।

জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি পাঁচজন গ্রামরক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার হঠাৎ মণিপুরের বিভিন্ন উপত্যকার স্থানীয় নারীরা থানায় হামলা চালান। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পশ্চিম ইম্ফলের সিঙ্গজামেই পুলিশ স্টেশনে কয়েক হাজার প্রতিবাদী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে উত্তেজিত জনতার দল। পরে মণিপুর পুলিশ ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স থানার ৫০০ মিটার আগেই তাদের থামিয়ে দেয়। এর পর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কারফিউ জারি হয়।

প্রসঙ্গত, মণিপুরের ২ নারীকে গণধর্ষণ ও তাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও সামনে আসতেই ভারত জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ৪ মে মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় এই ঘটনা ঘটে। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি ওঠে। বিরোধীদের ক্রমাগত দাবির মুখে শেষপর্যন্ত মনিপুর ইস্যুতে মুখ খোলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নির্যাতিত দুই নারীর মধ্যে একজন কার্গিল যোদ্ধার স্ত্রী বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৪ মাস ধরে মেইতেই ও কুকিদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত মণিপুর। মেইতেইরা মণিপুরের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী। মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই। মূলত ইম্ফল উপত্যকায় বাস তাদের। অপরদিকে কুকি ও জো সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা থাকেন পাহাড়ি অঞ্চলে। মেইতেইদের সংরক্ষণের অধিকারের দাবির বিরোধিতা করেছেন কুকিরা। কারণ, মেইতেইরা সংরক্ষণের আওতায় এলে তারা বনাঞ্চলে প্রবেশে অগ্রাধিকার পেয়ে যাবেন। এ নিয়ে গত ৩ মে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com