আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক কানাডীয় নাগরিককে নিয়ে দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। শিখ নেতা হরদীপ সিংয়ের মৃত্যু নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন চরমে। কানাডার দাবি, হরদীপ সিংয়ের হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকার জড়িত ছিল বলে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। তবে ভারত এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ইতোমধ্যে দুই দেশই পরস্পরের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
কানাডার হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, যেকোনো কানাডীয় নাগরিককে হত্যা অগ্রহণযোগ্য ও আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।
ট্রুডো মূলত ৪৫ বছর বয়সী শিখ নেতা হরদীপ সিংকে বুঝিয়েছেন। চলতি বছর ১৮ জুন সারেতে একটি শিখ মন্দিরের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর তিন বছর আগে ভারত তাকে `সন্ত্রাসী‘ বলে আখ্যা দিয়েছিল। হরদীপের দাবি ছিল শিখদের জন্য আলাদা স্বাধীন একটি রাজ্য গঠন হবে। পাঞ্জাবের খালিস্তানে এটি গড়ে তোলার দাবি তুলেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই শিখ ধর্ম ছড়িয়েছে সবখানে।
ট্রুডো বলেছেন, দিল্লির এজেন্টরা যে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত ছিলেন তার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ তাদের কাছে আছে। তবে ট্রুডোর এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
কানাডায় শিখদের কর্মসূচি নিয়ে অনেকদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ভারত। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দুই দেশই পরষ্পরের কূটনৈতিক বহিষ্কার করেছে।
মঙ্গলবার ভারথীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানায়, তারা কানাডীয় কূটনৈতিককে দেশ ছাড়ার জন্য পাঁচদিন সময় দিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, `ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও ভারত-বিরোধী কার্যক্রমের কানাডীয় কূটনৈতিকদের সংশ্লিষ্টতায় ভারতের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রতিফলনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কানাডীয় হাইকমিশনার ক্যামেরন ম্যাককেকে তলব করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে কানাডায় ভারত বিরোধী কার্যক্রম নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল দিল্লি। বিবৃতিতে বলা হয়, `কানাডায় সংগঠিত কোনো সহিংসতায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ একদম ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দাবি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ভারতের দাবি ‘এই ভিত্তিহীন দাবি করে আসলে খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের ওপর থেকে দৃষ্টি সরানো হচ্ছে যাদের কানাডা আশ্রয় দিয়েছে।‘