বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আত্মপ্রকাশ

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকা: বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি (বিজিপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের প্রণীত ২৮ দফার ভিত্তিতে দলটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর চৌধুরী হলে আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

আলোচকরা জানান, এরশাদবিরোধী আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতির চরম দৈন্যদশা দেখে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থী দলগুলোর অনেক নেতা ও নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ করে নতুন রাজনৈতিক চেতনা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক উন্নতির কোনো আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা খুঁজে না পেয়ে তিনি রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে চরম দূররাবস্থায় পড়ে গেছে বলে মনে করেন। তখনই উপলব্ধি করেন যে, স্বল্প সময় ও চেষ্টায় প্রকৃত রাজনীতি সূচনা করা সম্ভব হবে না।

এ বাস্তবতায় ২০০৫ সালের শুরু থেকে নতুন রাজনীতি, নতুন রাজনৈতিক দল, জনজাগরণ ও জনআন্দোলন সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি ২৮ দফা কর্মসূচি প্রচার করতে থাকেন। এই কর্মসূচি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থী দলগুলোর নেতা ও কর্মীদের মধ্যে প্রচার করা হয়।

সভায় দল গঠনের কারণ ও এর চিন্তা চেতনা তুলে ধরেন গণতন্ত্রী পার্টির তাত্ত্বিক নেতা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ১৯৮০ দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থী দলগুলোর কোনো সদর্থক রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়নি। ওই সময়ের আন্দোলনে প্রধান স্লোগান ছিল, একদফা এক দাবি, এরশাদ তুই কবে যাবি। তখন বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে এবং বেগম খালেদা জিয়া হন প্রধানমন্ত্রী। কোনো পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক সম্ভাব্য ছাড়া কেবল ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য নিয়া জামায়াতের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে খালেদা জিয়া ভালো কিছু করতে পারেনি। নির্বাচনের সুক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নতুনভাবে সরকার উৎখাতের আন্দোলন চালাতে থাকে। তখন থেকে অনেকে মতপ্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা নিঃরাজনীতিকরণের, বিরাজনীতিকরণের, ডিপলিটিসাইজেশনের কার্যক্রম চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত ২০ বছর ধরে বিশেষ করে ছাত্র-তরুণদের মধ্যে নতুন রাজনীতির ও নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজনবোধ প্রবল হয়ে উঠেছে। এই বাস্তবতার মধ্যেই এম এ আলী সরকারের উদ্যোগে আজকের এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। এটা নতুন সৃষ্টি, নতুন উদ্যোগ। প্রথম পর্যায়ে আমাদের চেষ্টা হবে জাতীয় জীবনে রাজনীতির গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন চেতনা সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক চিন্তার সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যক্রমের সংযোগ সাধন। নতুন কার্যক্রমের জন্যে নতুন রাজনৈতিক দল ও নতুন নেতৃত্ব দরকার।এসব চিন্তা-চেতনার সঙ্গে অর্থও দরকার। অনেকের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় সবই সম্ভব হবে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার বলেন, দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে মহাক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। বর্তমানে নিত্যপণ্যের বাজার যেভাবে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে কৃষক শ্রমিক মেহনতি সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। দেশ আজ বিশেষ কিছু ব্যক্তির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। জাতি এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়।

এ সময় আলীম সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সার্বজনীন উদার রাজনীতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com