ঢাকা: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলই নির্বাচনে কারচুপি করেছে। তবে ১৯৭৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগ যা শুরু করেছে তা স্বীকার করে অন্য দলের সমালোচনা করতে হবে। অন্য দলের সমালোচনা করে তারা নিজেরা দায়মুক্ত হতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের দায়মুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি-এর উদ্যোগে সিরাজুল আলম খান এবং আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাকি বলেন, ‘১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কুমিল্লায় খন্দকার মোস্তাক-কে জিতানোর জন্য হেলিকপ্টারে করে ব্যালট বক্স ঢাকায় নিয়ে এসে রেজাল্ট ঘোষণা করেছিল। বাংলাদেশের জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায়। জনগণের প্রতিনিধিরা শাসন করবে। জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সংবিধানের এই ঘোষণার একেবারে মৃত্যু ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনীতির এমন একটি ভঙ্গি শুরু করেছে যে ক্ষমতা কিছুতেই ছাড়া যাবে না। গত ১৫ বছরে দেশের দুটি প্রধান দলের মধ্যে একটি বিএনপি তার উপলব্ধি করছে তাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন গুম খুন করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি যদি মনে করে স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের এই শাসন ব্যবস্থা পুনরাবৃত্তি করবে তাহলে কিন্তু বাংলাদেশে এর মধ্যে থেকে বের হতে পারবে না। এই দেশ অস্তিত্বের হুমকির মধ্যে পড়বে।’
জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘নতুন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে হবে। আর এই কারণেই বিএনপির সাথে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা একমত হয়েছি এই ফ্যাসিবাদী কায়দায় বাংলাদেশ আর চলতে দেওয়া হবে না। যে ৩১ দফা সামনে এসেছে এগুলো বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশে নতুন ধারা, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করা হবে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।