ঢাকা : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সাতজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা এবং দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (ভারপ্রাপ্ত) সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাজবাড়ী পাংশার হাবাসপুরের ওমর আলী প্রামানিকের ছেলে রঞ্জু ওরফে রঞ্জুর হোসেন, আনছার দাইয়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক, মৃত জসিম সরদারের ছেলে মাসুদ ওরফে মাসুদ রানা, মৃত গহর প্রামানিকের ছেলে দেলু ওরফে দেলোয়ার হোসেন প্রামাণিক, ছেকেন সরদারের ছেলে অজো ওরফে হজো ওরফে হযরত আলী, জিয়েলগাই এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে আশরাফ এবং কুষ্টিয়া সদর থানার আমলাপাড়া চরের গুলাই প্রামাণিকের স্ত্রী জয়গুন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাংশার হাবাসপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতে মৃত অবস্থায় আমেনা খাতুন ওরফে ফেলো নামে এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফেলে রেখে যায়। নিহতের ভাই বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।