আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলি সেনারা পশ্চিম তীরের জেনিন শহর ও জেনিন শরণার্থী শিবিরের শত শত ফিলিস্তিনি পরিবারের হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। একইসঙ্গে সেনারা সোমবার ভোররাতে জেনিনে আকাশ ও স্থলপথে যে বর্বরোচিত আগ্রাসন শুরু করেছিল তা এখনও চলছে।
এ পাশবিক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং বহু লোক আহত হয়েছেন। মূলত জেনিন শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে এ আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা জেনিন শিবির থেকে শত শত পরিবারকে শূন্য হাতে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে। এসব ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সেখানে বহু বুলডোজার নিয়ে গেছে সেনারা। জেনিন শিবিরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ধরার জন্য তেল আবিব এই পাশবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এ পর্যন্ত জেনিন শরণার্থী শিবির থেকে ৫০০ পরিবারকে বের করে দেয়ার খবর নিশ্চিত করে রেড ক্রিসেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় যে ধ্বংসলীলা তৈরি হয়েছে তার ফলে এই সংস্থার কর্মীদের পক্ষে শরণার্থী শিবিরের ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ পর্যন্ত ৩,০০০ ফিলিস্তিনিকে জেনিন থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এবং এই সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। ঘরবাড়ি থেকে কোনো ফিলিস্তিনি বের হতে না চাইলে তাদেরকে বাড়িসহ ধ্বংস করে ফেলার হুমকি দিচ্ছে সেনারা।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নারী ও শিশুসহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা যখন প্রাণভয়ে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে এক কাপড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন তখন তাদের ওপর গ্যাস বোমা প্রয়োগ করছে ইসরাইলি সেনারা।
জেনিন শহরের মেয়র বলেছেন, ইসরাইলি সেনারা জেনিন শরণার্থী শিবিরের খালি হয়ে যাওয়া ঘরবাড়িগুলো বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং ধ্বংসলীলার ব্যাপকতা অনেক বেশি। খবর- পার্সটুডে