ঢাকা: দুটি ডার্বি সিগারেটেরের সূত্র ধরে ঢাকার আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস বিমল চন্দ্র হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি মো. হাফেজকে (৪০) আশুলিযার জিরানী বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, ভিকটিম বিমল চন্দ্র মন্ডল (৫৫) সপরিবারে আশুলিয়ার জামগড়া মনির মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় ভিকটিম বিমল চন্দ্র বাসায় থাকতেন। আর তার স্ত্রী ও মেয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত ১৬ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো বিমলের স্ত্রী এবং মেয়ে কাজের তাগিদে গার্মেন্টসে চলে যান। বিমল চন্দ্র একাই বাসায় ছিলেন। ডিউটি শেষে বিকেলে বিমলের মেয়ে পূর্ণিমা রানী মন্ডল বাসায় গিয়ে তার বাবাকে কাপড় কাটার কেচি মুখে ঢোকানো অবস্থায় দেখতে পান। তার চিৎকার-চেঁচামেতিতে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তখন পূর্ণিমা বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানান।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, অজ্ঞাতনামা আসামিরা গত ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে যেকোনো সময় বিমল চন্দ্রকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী পারুল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলা নং-৪৪। আশুলিয়া থানা পুলিশ ১৭ এপ্রিল থেকে ৪ জুন পর্যন্ত মামলাটি তদন্ত করে। ৪ জুন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।