ফরিদপুর : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে আটজন মারা যাওয়ার একদিন পর ফের দুর্ঘটনা ঘটল একই মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে। একটি মাইক্রোবাসের চাপায় পুলিশ কনস্টেবল ও এক নারী মারা গেছেন।
রোববার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানার গোল চত্বর এলাকায় টোল প্লাজা কাছে মাইক্রোবাস চাপায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল এবং এক নারী মারা যান। আহত হন আরও তিনজন।
নিহত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলের নাম মোতালেব বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে নিহত নারীর নাম এখনো জানা যায়নি।
এই ঘটনায় গুরুতর আহত অপর তিনজনকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টঙ্গী কলেজ গেট এলাকা থেকে শরীয়তপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি মাইক্রোবাস। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানা মোড় এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগতির গাড়িটি হঠাৎ বেপরোয়াভাবে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী নারী এবং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই নারীর। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় পুলিশ সদস্য মোতালেবের। আহত অপর তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ঘাতক মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চালক নূরনবী পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে শনিবার (২৫ জুন) সকালে ফরিদপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে চালকসহ আটজন মারা যান। এর মধ্যে সাতজন একই পরিবারের। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামে।