ঢাকা : নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতাল তার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে বলে দাবি করেছেন ডা. সংযুক্তা সাহা। তিনি বলেন, বিশ্বাস করেন, সেন্ট্রাল হাসপাতাল আমার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে। তারা এমন অনিয়ম করবে, আমি ভাবতেও পারিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর পরীবাগের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
ডা. সংযুক্তা বলেন, আঁখি যখন হাসপাতালে, তখন আমি দেশে ছিলাম না। আমার কাছে টিকিট ও বোর্ডিং পাস আছে। আমি ভিডিও কলেও অপারেশন মনিটরিং করিনি। সব মিথ্যা।
এর আগে সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে সেন্ট্রাল হসপিটালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন হাসপাতালটির সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. এটিএম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আঁখির চিকিৎসায় হাসপাতালের অবশ্যই গাফিলতি ছিল। গাফিলতি ছিল প্রথমত ডা. সংযুক্তা সাহার, তারপর ওটির চিকিৎসকদের, কারণ সেসময় তারা সিনিয়র ডাক্তারদের ডাকেনি।’
একজন চিকিৎসকের পক্ষে প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুইশজন রোগী দেখা কিভাবে সম্ভব জানতে চাওয়া হলে ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে কোয়ালিটি সার্ভিস দিতে গেলে একজন চিকিৎসকের দৈনিক এত রোগী দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু সংযুক্তা সাহা দেখতেন, কী বলব আর এটি নিয়ে।’
হাসপাতাল প্রশাসন কি তাহলে এ বিষয়গুলো এতদিন জানত না? এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। ডাক্তারের কাছে এলে চিকিৎসা তো মূলত তারাই দেয়। তারপর কোন একটা ইনসিডেন্স ঘটলেই সেটা আমাদের কাছে আসে। বাইরে বিষয়গুলোতে আমাদের অবগত করা হয় না। এজন্যই আমরা এই বিষয়গুলো জানতে পারিনি।’
এর আগে রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যুর সাত দিনের মাথায় মা মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা যান। কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে গত শুক্রবার রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসবের জন্য আনা হয়েছিল আঁখিকে। তিনি রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তবে স্বাভাবিক প্রসবের পরিবর্তে আঁখির অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই অস্ত্রোপচারও করেন অন্য চিকিৎসক। প্রসবের রাতেই নবজাতকের মৃত্যু হয়।