ঢাকা : যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচি উস্কানিমুলক ও বিশৃঙ্খলা সৃস্টির অপপ্রয়াস বলে মনে করছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি ঘোষনার ২ দিন পরে একই তারিখে একই স্থানে যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচিকে আমরা উস্কানিমুলক ও বিশৃঙ্খলা সৃস্টির একটি অপপ্রয়াস বলে মনে করি।
বুধবার (৭জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন এর কার্যালয় থেকে যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল -এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার অর্জন, বাক স্বাধীনতা সর্বপরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশ বাচাঁতে ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগি সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
টুকু বলেন সমাবেশকে ঘিরে সারাদেশে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ যুবলীগের একটি পাল্টা কর্মসূচি আমাদেরকে হতবাক করেছে। আমাদের কর্মসূচি ঘোষনার ২ দিন পরে একই তারিখে একই স্থানে যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচিকে আমরা উস্কানিমুলক ও বিশৃঙ্খলা সৃস্টির একটি অপপ্রয়াস বলে মনে করি।
আমরা অনেকদিন থেকে বলে আসছি আওয়ামী অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ ও অন্যান্যরা জন্মলগ্ম থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃস্টি করে আসছে। বিরোধী মতের কন্ঠরোধ করতে গুম, খুন, চাঁদাবাজি, হামলা, মামলা তাদের জন্মগত অভ্যাস তারই ধারাবাহিকতা এখনও বিদ্যমান। শেখ হাসিনার অবৈধ অনির্বাচিত শাসন আমল যখন অন্তিয়মান ঠিক তখন আমাদের পূর্ব নির্ধারিত শান্তিপূর্ন কর্মসূচির বিপরীতে যুবলীগের এই কর্মসূচীকে আমরা নৈরাজ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যেমে তাদের অবৈধ শাসনামলকে দীর্ঘস্থায়ীকরার ঘৃন অপপ্রয়াস বলে মনে করি।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ স্লোগানে এ কর্মসূচি হবে। এটি কোন বিভাগীয় সমাবেশ নয়। প্রায় ৪ কোটি ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার করতে চাই। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় জন্য লড়াই করছি না, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। আজকে আমরা মনে করি এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারেনা।
নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী হবে। যেটা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র করেছিল। বাংলাদেশের মানুষকে স্বনির্ভর সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ দিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া ৯ বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র দিয়েছিল। এবং বাংলাদেশের মানুষকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেজন্য দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন টেইক ব্যাক বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে সবার সমান অধিকার থাকবে।
কর্মসূচি:
১৪ জুন বুধবার চট্টগ্রাম থেকে সমাবেশ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ১৯ জুন সোমবার বগুড়া, ২৪ জুন শনিবার বরিশাল, ৯ জুলাই রবিবার সিলেট, ১৭ জুলাই সোমবার খুলনা, ২২ জুলাই শনিবার ঢাকায় সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ।