ঢাকা : ত্বত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু। তিনি বলেন, একমুহুর্তও এই সরকার ক্ষমতায় থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদল আয়োজিত রাজধানী ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ সফল করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততোদিন বিরোধী দল, বিরোধী মত অবৈধ সরকারের নানাবিধ নিপীড়নের শিকার হতে থাকবে।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্বব্যপী নিন্দার ঝড় উঠেছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। এদের গুম খুন ফ্যাসিবাদের কারণে দেশের অনেক লোক সত্য বলতে সাহস করেনি। কিন্তু আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে। আপনি (শেখ হাসিনা) কত গুম করেছেন, বিচারবর্হিভূত হত্যা করেছেন আস্তে আস্তে গর্তের ভেতর থেকে সব বের হচ্ছে।
সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে সরকার এমন অভিযোগ করে সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, ইতোমধ্যে যে লাখ-লাখ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছিল, এখন সেই মামলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সাজা দেওয়া শুরু করেছে। অবৈধ পথে ক্ষমতায় থাকা এবং ভোটার বিহীনভাবে আগামী নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করতেই একের পর এক সাজা দেওয়া হচ্ছে। আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে নির্দোষ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া রাষ্ট্রের নাৎসিবাদী চেহারা বিপদজনকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এই ভোট ডাকাত অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আমাদের বিজয় অর্জন করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে শান্তিপূর্ন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকার পতনের ঢেউ তোলা যায়।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে যুবদলের এই নেতা বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাবনা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমান দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দেলন অব্যাহত থাকবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, মাহবুবুল হাসান পিংকু, হারুনুর রশীদ শিশির, মহসিন মোল্লা, কামরুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসুমুল হক, জাভেদ হাসান স্বাধীন, এ্যাডভোকেড আজিজুর রহমান আকন, ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, সহ-সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, প্রচার সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, কোষাদক্ষ গোলাম মোস্তফা, আরও যারা উপস্থিত ছিলেন, মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, মাজেদুল ইসলাম রুমন প্রমুখ।