আওয়ামী লীগ বরাবরই নির্বাচনমুখী দল: নানক

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই একটা নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক দল। দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী। কারণ, আমরা জানি ক্ষমতার পটপরিবর্তনের উত্তম উপায় হচ্ছে নির্বাচন। যারা অগণতান্ত্রিক তাদের নির্বাচনে আগ্রহ থাকে না। কেউ কেউ আত্মমর্যাদা হারানোর ভয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় না। আবার কারো কারো ইচ্ছা থাকলেও তথাকথিত নেতাদের রক্তচক্ষুর ভয়ে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বা বয়কট করে। এটাই হচ্ছে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এদের অনেক আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কোনো জনসমর্থই নেই। কেউ নির্বাচনে এলো কিনা, তাতে আওয়ামী লীগের কিছু যায় আসে না।’

শনিবার (২০ মে) সিলেট মহানগরীর একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গঠিত পশ্চিমাঞ্চলীয় সেন্টার কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনার নেতাকর্মী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কাউকে ‘মাই ম্যান’ হিসাবে তৈরি করা যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের এই নির্বাচনে যেসব নেতাকর্মী ত্যাগ স্বীকার করবেন, কর্ম অনুযায়ী তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে। আর যারা কাজ করবেন না বা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন তারা দয়া করে দল ছেড়ে দিবেন। অন্যথায় দল থেকে বের করে দেয়া হবে।’

সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংবাদ নগরবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সিলেট বরাবরই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। অবশ্যই এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সেই সত্যের প্রতিফলন ঘটাবেন সিলেটবাসী। কারণ, সারাদেশে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে সিলেট বঞ্চিত থাকতে পারে না। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মাধ্যমেই সরকার তা করবে। আগের মেয়র কোটি কোটি টাকার সদ্ব্যাবহার করতে পারেন নি। আনোয়ারুজ্জামানের মাধ্যমেই তা করা হবে। আর তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নৌকার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘সিলেটের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে যেভাবে মাঠে নেমেছেন, কাজ করছেন এতে প্রমাণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ সবসময় ঐক্যবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। ১০ বছর ধরে আমরা টাকা দিলেও তার সদ্ব্যাবহার হয়নি। কেন হয়নি? সিলেটবাসীকে এর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। এখন আনোয়ারুজ্জামানের হাত ধরেই সরকার সেটি করবে। সরকারি বরাদ্দের সদ্ব্যাবহারের মাধ্যমে সিলেটবাসীর উন্নয়ন হবে। একটি আধুনিক ও স্মার্ট নগরী হিসাবে বিশ্বজোড়া পরিচিতি পাবে এই আধ্যাত্মিক নগরী।’

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দলের নেতাকর্মী আমাকে যেভাবে সমর্থন এবং সহযোগীতা করছেন আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী ২১ জুন নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আপনারা মাঠ ছাড়বেন না। নগরীর প্রত্যেকটি সম্মানিত ভোটারের কাছে গিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে ভোট চাইতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি স্মার্ট নগরী উপহার দিবো। নগরবাসীকে যাতে উন্নয়ন দুর্ভেোগ পোহাতে না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন থেকে কাজ করবো। সারাদেশের মধ্যে সিলেটই হবে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এবং বাসযোগ্য নগরী।’

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমেদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জি এম. জেড কয়েছ গাজী, অ্যাড. প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, নগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি. এম হাসান জেবুল, বিধান কুমার সাহা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, নগরের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ শামীম আহমদ, জেলার কোষাধ্যক্ষ শমশের জামাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আজমল আলী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মবশ্বির আলী, জেলার ও নগরের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, খন্দকার মহসিন কামরান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. আব্বাস উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, জেলার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার মিনু, নগরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, নগরের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, জেলা ও নগরের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. সাকির আহমদ শাহিন, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, জেলা ও মহানগরের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com