স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের প্রথম ভাগে দারুণ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না ব্রেন্টফোর্ড। বিরতির পর দিতে হলো তার মাসুল। মলিনতা কাটিয়ে জ্বলে উঠল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তিন ফরোয়ার্ডের গোলে জয়ের পথে ফিরল রাফল রাংনিকের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড।
ম্যাচের ১২ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত ম্যানইউ। তবে বায়ান এমবামোর কাছের পোস্টে নেওয়া শট পা বাড়িয়ে কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন দাভিদ দে হেয়া। পরের দুই মিনিটের দুটি কর্নারেই সুযোগ আসে ব্রেন্টফোর্ডের সামনে, তবে স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসেনি। দ্বিতীয় কর্নারে মাথিয়াস ইয়েনসেন দারুণ পজিশন থেকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন।
২৫তম মিনিটে ম্যাচে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ আসে ইউনাইটেডের সামনে। তবে পর্তুগিজ ডিফেন্ডার দিয়োগো দালোতের দূর থেকে নেওয়া শট শেষ মুহূর্তে বাঁক খেয়ে বাইরে চলে যায়।
আট মিনিট পর ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায় ইউনাইটেড। ওয়ান-অন-ওয়ানে ইয়েনসেনের শট দে হেয়া পা বাড়িয়ে ঠেকান। বল তার পরও ছিল স্বাগতিকদের পজেশনে। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সতীর্থের পাস পেয়ে শট নেন ভিটালি, ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের পায়ে লেগে বল ক্রসবারে লাগলে হাফ ছাড়ে ইউনাইটেড।
চোট কাটিয়ে দুই ম্যাচ পর ফেরা রোনালদো প্রথমার্ধের পুরোটা সময় একরকম দর্শক হয়ে ছিলেন। ৪৭তম মিনিটে তার হেড ক্রসবারে লাগে। পরের মিনিটে আবারও ইউনাইটেড শিবিরে ভীতি ছড়ান ইয়েনসেন। ব্যর্থতায় ধারাবাহিকতায় এবার তিনি শট নেন গোলরক্ষক বরাবর।
৫৫তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় ইউনাইটেড। ফ্রেদের রক্ষণের ওপর দিয়ে বাড়ানো ক্রস সঙ্গের ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ প্রথম ছোঁয়ায় নিযন্ত্রণে নেন ইয়েলাংয়া। পরে কাছ থেকে হেডে তরুণ সুইডিশ ফরোয়ার্ড বল পাঠান জালে।
সাত মিনিট পর দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউনাইটেড। নিজেদের সীমানায় প্রতিপক্ষের থেকে বল কেড়ে স্কট ম্যাকটমিনে উঁচু করে বাড়ান মাঝমাঠের ওপারে, রোনালদোর উদ্দেশ্যে। পর্তুগিজ তারকা বল না ধরেই দারুণভাবে বুক দিয়ে ডান দিকে বাড়ান ফের্নান্দেজের দিকে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এই মিডফিল্ডার। তার দিকে ছুটে যান গোলরক্ষক, সুযোগ বুঝে ফের্নান্দেজ ডান দিকে পাস দেন। ফাঁকা জালে বল পাঠাতে কোনো সমস্যাই হয়নি গ্রিনউডের।
৭১তম মিনিটে রোনালদোকে তুলে ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ারকে নামান কোচ। এই সিদ্ধান্তে বেশ অসন্তুষ্ট দেখা যায় পাঁচবারের বর্সসেরা ফুটবলারকে। একই সময়ে গ্রিনউডকে তুলে র্যাশফোর্ডকে নামায় ইউনাইটেড। ছয় মিনিট পর কোচের আস্থার প্রতিদান দেন র্যাশফোর্ড। ফের্নান্দেজের পাস ডি-বক্সে পেয়ে জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ২৪ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
৮৫তম মিনিটে জটলার মধ্যে গোলমুখে বল পেয়ে টোকায় ব্যবধান কমান আইভ্যান টনি। তবে বাকি সময়ে আর কোনো নাটকীয়তার জন্ম দিতে পারেনি ব্রেন্টফোর্ড।
২১ ম্যাচে ১০ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে ইউনাইটেড। ১৪ নম্বরে ব্রেন্টফোর্ডের পয়েন্ট ২৩, ২২ ম্যাচে। ২২ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে লিভারপুল ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। ২৩ ম্যাচে চেলসির পয়েন্ট ৪৪। ২২ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড। টটেনহ্যাম হটস্পার ১৯ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে। ২০ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই আছে আর্সেনাল।