ঢাকা: সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদার সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে কতিপয় ব্যক্তি গত ৫ আগষ্টের পর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য রয়েছে নাম সর্বস্ব এ সংগঠনটিতে কোন ধরনের কাউন্সিল বা নির্বাচন ছাড়াই স্বঘোষিত সভাপতি হিসেবে যুবদল নেতা দীপু সরকার এবং সাধারন-সম্পাদক হিসেবে ঠিকাদার কুদ্দুস মোল্লা নিজেদের নাম নিজেরাই ১০জনের পদ ঘোষনা করেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চলছে ব্যপক অরাজকতা। এই কুদ্দুস মোল্লা ৫ আগষ্টের আগেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আওয়ামী প্রভাবশালী বিভিন্ন ঠিকাদারদের সাথে মিলে সুবিধাভোগী হয়ে কাজ করতেন। গণঅভ্যূথানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিনি নিজেকে বিএনপির বর্ষীয়ান রাজনীতীবিদ পরিচয় দিয়ে এবং বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদার কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে আওয়ামী পন্থী ঠিকাদারদের কাছ থেকে বেপরোয়া চাদাঁবাজি ও অরাজকতা শুরু করেন।
এছাড়াও ক্ষমতা জাহিরের অপচেষ্টা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মত সরকারি ভবনে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বিএনপিকে বির্তকিত বানাচ্ছেন কুদ্দুস মোল্লারা।
এর মধ্যে যুগ্ম-সম্পাদক -হেদায়েত হোসেন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে নেতা হন (মেসার্স সার্কেল লজিস্টিক) এই নামে তার কোন ঠিকাদারী লাইসেন্স নেই। জানা গেছে সার্কেল লজিস্টিকের মালিক নার্গিস আক্তার এক মহিলা। লাইসেন্স না থাকা সত্বেও সে কেবলমাত্র সমিতির নাম ভাঙিয়ে কেবল ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে হেদায়েত হোসেন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং জ্যাকবের সঙ্গে রয়েছে তার সখ্যতা। লাইসেন্স বিহীন হেদায়েত কিভাবে নেতা হলেন এই প্রশ্নে ক্ষোভে ফুসছেন অনেক ঠিকাদার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ঠিকাদার জানান যেহেতু ঠিকাদার নেতা হতে লাইসেন্স লাগেনা আমরাও বহিরাগতদের নিয়ে যেকোন সময় পাল্লা কমিটি ঘোষনা দিবো।
লাইসেন্স না থাকা সত্বেও ঠিকাদারী ব্যবসা পরিচালনা যা আইন ও নিয়ম লঙ্ঘনের শামিল।
সংক্ষেপে, এখানে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
ঠিকাদারি লাইসেন্স: সাধারণত, ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য একটি ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক লাইসেন্স/অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
নিয়ম লঙ্ঘন: লাইসেন্সবিহীন ঠিকাদারি কার্যক্রম আইনত দণ্ডনীয় এবং এটি সরকারের রাজস্ব হারানোর কারণ হতে পারে।
ঝুঁকি: লাইসেন্সবিহীন ঠিকাদাররা সাধারণত কাজের গুণগত মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, যা প্রকল্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
অভিযোগ: অনেকেই এই ধরনের লাইসেন্সবিহীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন এবং কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
প্রতিকার: এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে হলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি এবং লাইসেন্সবিহীন ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
লাইসেন্স ছাড়া ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করা বাংলাদেশে বেআইনি এবং এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ। সেই হেদায়েতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ঠিকাদার সমিতির নাম দিলেও এ সংগঠনটির অধিকাংশ সদস্যই বহিরাগত এবং ডিপিএইচইর তালিকাভুক্ত ঠিকাদার নন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় ১৮-২০ বছর আগে তিনি যুবদল এর রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে তিনি ঠিকাদার ব্যবসার স্বার্থে আওয়ামীলীগ বনে যান। আওয়ামীলীগ ঠিকাদারদের সাথে জোগসাজস করে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছিলেন।
৫ আগষ্ট এর গণ-অভূথ্যানে হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আবার ভোল পাল্টে বিএনপি বনে যান। গিরগিটির মত রং পরিবর্তন কারী কুদ্দুস মোল্লার বিরুদ্ধে রয়েছে মদ পান ও নারী কেলেংকারীর একাধিক অভিযোগ।
সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাট এর ছত্রছায়ায় তিনি দাপট দেখিয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা বাগিয়ে নেন এমন অভিযোগ রয়েছে।