আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একসঙ্গে তিন তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এক যুবক। কিন্তু তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় নজরদারি শুরু করেন প্রেমিকা। সন্দেহ সত্যি হলে কথিত ওই প্রেমিককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন তারা। প্রেমিকাদের কাছে অর্থও নিয়েছেন চীনের ওই কথিত প্রেমিক শিউই। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বুধবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই তিন নারী একত্রে সাংহাইয়ের ইয়াংপু বিভাগের পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দেন, প্রেমিক শিউই তাদের কাছ থেকেই অর্থ নিয়েছেন। কিন্তু সেই অর্থ আর ফেরত দিচ্ছে না। এছাড়া প্রেমের নামে প্রতারণাও করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ‘প্রেমিক’ শিউইকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে আড়াই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
শিউই’র তিন প্রেমিকার একজন হলেন চেং হং। তিনি জানান, শিউইয়ের ওপর তার সন্দেহ শুরু হয়। এরপর মদ খেয়ে যখন শিউই ঘুমাতেন তখন তিনি তার মোবাইল ফোন দেখতেন। এতে তিনি দেখতে পান, শিউইকে একাধিক মেসেজ পাঠিয়েছেন অপর এক নারী; যার মধ্যে একটি মেসেজ ছিল— কেন সে তার ফোন ধরছে না।
চেং হং তখন শিয়াও ফ্যান নামের এক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হন। তখন তিনি জানতে পারেন শিয়াও নামের ওই নারীর সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক আছে শিউইয়ের এবং তাদের দুজনকেই বিয়ে করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন এই কথিত প্রেমিক। এখানেই সব শেষ হয়নি। চেং গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঝাও লি নামের তৃতীয় এক তরুণীর কাছ থেকে ফোন পান। ওই তরুণী জানান, শিউই তার সঙ্গেও প্রেম করছে।
এসব জানার পর চেং যখন শিউইক চাপ দেন এবং তার দেওয়া অর্থ ফেরত চান তখন সেগুলো ফেরত দিবে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এরপরই ওই তিন তরুণী মিলে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অবাক করা বিষয় হলো— শিউই পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রতারণার শিকার হওয়া তিন তরুণীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় এবং তারা একসঙ্গে ঘুরতেও যান!