দুঃখ-কষ্টে ঈদ করছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৩

ঢাকা: এ বছর সাধারণ মানুষ ‘দুঃখ-কষ্টে’ ঈদ উদযাপন করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঈদের নামাজ শেষে শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবারকার ঈদ ছিলো আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং কষ্টকর। একদিকে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে শরিক হতে পারেননি। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ তারা চাল-ডাল-তেল-লবণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে অস্বাভাবিক নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি তাতে করে তারা এই ঈদের আনন্দকে উপভোগ করবার জন্য যেটুকু নূন্যতম সামগ্রী কেনা দরকার তারা সেটা কিনতে পারেনি। দুঃখ-কষ্টে কাটছে তাদের।

মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে এমন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবারকার ঈদের বাজার-সেটাও কিন্তু একেবারে কোনো রকমের জমে উঠতে পারেনি। কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই কমে গেছে। সেক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এ সময় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ সত্যিকার অর্থে অর্থনৈতিকভাবে এই সরকারের মিথ্যা প্রচারণার মধ্য দিয়ে, একটা মানুষকে ভুল বুঝানোর মধ্য দিয়ে বুঝাতে চায় বি্শেষ করে মিডিয়ার সাহায্য দিয়ে দেশ খুব ভালো আছে, অর্থনীতি ভালো আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে আজকে একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে, প্রকৃতপক্ষে দেশে অর্থনৈতিক চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটের কারণে দেশ অতি দ্রুত ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের দিকে যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

একটা মিথ্যা কথা বলে, প্রচারণা করে এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

এই অবস্থার পরিবর্তনে মানুষকে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশকে মুক্ত করতে মানু্ষকে জেগে উঠতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে এনেছে। এবারও তারা সংগ্রাম-আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনবে।’

এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কী জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একমাত্র উত্তরণের পথ হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক আছে, যারা জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা থাকবে, জনগণের প্রতি ভালোবাসা থাকবে সেই ধরনের সরকার গঠন করতে হবে।’

সকাল ১১টায় মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর ফাতেহা পাঠ করে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

এ সময়ে বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুল বারী ড্যানী, সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, আবু সাঈদ, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহানগর আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমানসহ মহানগরসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়া যখন মুক্ত ছিলেন তখন প্রতিবছর ঈদের দিন দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার আসছেন।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com