আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মরক্কো থেকে স্পেনের উত্তর আফ্রিকান ছিটমহল মেলিলায় পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় সীমান্ত বেড়ার ওপরে বসে আছেন আফ্রিকান অভিবাসীরা। ছবিটি ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর তোলা

উত্তর আফ্রিকায় স্পেনের একটি ছিটমহলে প্রবেশের চেষ্টার সময় কমপক্ষে ২৩ জন অভিবাসী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেক অভিবাসী। গত শুক্রবার (২৪ জুন) উত্তর আফ্রিকায় স্পেনের ছিটমহল মেলিলার ভেতরে বিশাল সংখ্যক জনতা প্রবেশের চেষ্টা করলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেশী দেশ মরক্কোর কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে রোববার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত অভিবাসীদের মধ্যে কয়েকজন ওই ছিটমহলের সীমান্ত বেড়ার ওপর থেকে পড়ে গিয়েছিলেন।

বিবিসি বলছে, শুক্রবার ভোরে সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী ও অভিবাসীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মার্চ মাসে স্পেন ও মরক্কোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু হয় এবং এরপর এটিই প্রথম সীমান্তে এ জাতীয় গণ-পারাপারের চেষ্টা।

মূলত স্পেন পশ্চিম সাহারার বিতর্কিত অঞ্চলে মরক্কোর স্বায়ত্তশাসনের পরিকল্পনাকে সমর্থন করার পরে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলে।

স্প্যানিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত শুক্রবার সীমান্ত বেড়া কেটে কয়েকশো মানুষ মেলিলা ছিটমহলে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা আরও বলছেন, সীমান্ত পারাপারের আগেই বেশিরভাগকে জোর করে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু এরপরও শতাধিক অভিবাসী মেলিলায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয় এবং তাদের বিষয়টি সেখানকার একটি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার এই ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে ১৮ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে কর্মকর্তারা শনিবার বলেন, সীমান্ত পারাপারের সময় পাওয়া আঘাতের কারণে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। এতে করে প্রাণ হারানো অভিবাসীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে।

উত্তর আফ্রিকায় মেলিলার পাশাপাশি স্পেনের আরও একটি ছিটমহল রয়েছে। আর পৃথক এই ছিটমহলটির নাম সেউটা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী বেশিরভাগ সাব-সাহারান অভিবাসীদের কাছে এই দু’টি ছিটমহল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।