ঢাকা : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা জারি করেছে সরকার। নতুন নিয়মে আগের নারী ও অন্যান্য কোটাব্যবস্থা বাতিল করে মোট ৭ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সই করেন সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ নামে প্রণীত এ বিধিমালার আওতায় সরাসরি ও পদোন্নতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা থাকবে।
আগের বিধিমালায় নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ এবং পুরুষদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা ছিল। নতুন বিধিমালায় তা বাতিল করে ৯৩ শতাংশ পদ মেধাভিত্তিক এবং ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
নতুন কোটার মধ্যে ৫ শতাংশ থাকবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য এবং ১ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য।
এছাড়া, নতুন করে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ শতাংশ এবং অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকদের জন্য ৮০ শতাংশ পদ বরাদ্দ থাকবে।
বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, নিয়োগ উপজেলা এবং ক্ষেত্রবিশেষে থানাভিত্তিক হবে। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলো মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে।
নতুন বিধিমালা জারির পর ২০১৯ সালের বিধিমালা বাতিল বলে বিবেচিত হবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।