সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই: জামায়াতের আমির

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন! খুব নিকট সময়ের ভেতরেই গোপালগঞ্জের পর ঢাকার কচুক্ষেতে এই ঘটনা ঘটলো।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের যদি কোনো ন্যায্য দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাধান করবেন এটাই তাদের কর্তব্য। কিন্তু বিক্ষোভকালে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এটা যদি বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে হয়ে থাকে, দেশ এবং অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার কোনো ছক থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ও পুলিশের একটি লেগুনায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকরা।

এতে কচুক্ষেত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এছাড়া পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় আল আমিন ও রুমা বেগম নামে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পোশাক শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বর কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত করতে এলে প্রথমে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই আমরা রাস্তায় ছিলাম। তবে শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, কচুক্ষেতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের দুটি ইউনিট দিয়ে গাড়ি দুটির আগুন নেভায়।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com