মধ্যপ্রাচ্য থেকে পিছু হটছে মার্কিন রণতরী

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিজেদের রণতরী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন অঞ্চলে অতিরিক্তি মোতায়েনের অংশ হিসেবে নিয়োজিত ছিল।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইরানের সঙ্গে জোটবদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে মধ্যপ্রাচ্যে দুটি মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী রাখার জন্য পেন্টাগনের একটি বিরল পদক্ষেপের পরে এটি করা হয়েছে। কারণ বাইডেন প্রশাসন ইরান এবং তার ‘প্রক্সি’ দ্বারা সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে।

সামরিক বিশ্লেষক এলিজাহ ম্যাগনিয়ার বলেন, ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন বিমানবাহী রণতরীকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর অন্যতম কারণ হলো ইসরায়েলকে বার্তা পাঠানো।

এর আগে গাজা থেকে পরিচালিত হামাস ও ইসলামী জিহাদের অভিযানের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিমানবাহী রণতরী আইজেনহাওয়ার লোহিত সাগরে ছুটে এসেছিল। কিন্তু জলদানবটি এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।

ইয়েমেনিরা মার্কিন বিমানবাহী বিশাল রণতরী ‘ইউএসএস আইজেনহাওয়ার’-এর ওপর হামলা করেছে বলে খবর প্রকাশের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই বিশাল সাগর-দানবের ওপর ইয়েমেনি হামলার খবরকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পেন্টাগন। কিন্তু ইয়েমেনিরা এই খবরের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করলে পেন্টাগনের বিশেষজ্ঞরা ইজ্জত বাঁচানোর জন্য ঘোষণা করেন যে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লোহিত সাগরে এই রণতরীর মিশন শেষ করা হয়েছে!

এই ঘটনার পর অনেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলেছে যে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রতি পাশ্চাত্যের অস্ত্র সাহায্য অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের অবস্থা এখনো নাজুক ও তা দৃশ্যমান এবং বিখ্যাত মার্কিন রণতরীর এখনো সেখানে থাকা উচিত। কিন্তু ইয়েমেনিদের নতুন হামলার পর অস্টিন ঘোষণা করেন যে, আইজেনহাওয়ারের পিছু হটা দরকার এবং সম্ভবত ‘থিওডোর রুজভেল্ট’ রণতরী সেখানে যাবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় দখলদার ইসরায়েল বিপর্যস্ত হলে এ অঞ্চলে পাঠানো হয় আইজেনহাওয়ার। জ্বালানি পরিবহনের নিরাপত্তার কথা বলে এ অঞ্চলে এলেও আসলে এর মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের আশপাশে একটি ভাসমান বিমানঘাঁটি হিসেবে কাজ করা যাতে কখনো দরকার হলে এর যুদ্ধবিমানগুলো খুব অল্প সময়ে নানা ধরনের অভিযান চালাতে পারে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com