২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ভুল সিদ্ধান্তের ফল এখনও ভোগ করছে জনগণ। সুতরাং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবতার নিরিখে প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান।
রোববার (৭ এপ্রিল) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং পরবর্তী বাজেট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটা সময়ে সামষ্টিক অর্থনীতিতে একটি উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন পর্যায়ের মূল্যস্ফীতি ছিলো। গত দুই বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও নষ্ট হয়ে গেলো। পাশাপাশি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও স্থবির হয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতির লাগামও কোনোভাবে টানা যাচ্ছে না।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আসছে বাজেটে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যের দিকে সর্বাধিক নজর দেবে সরকার। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটালাইজেশনে মনোযোগ বাড়ানো হবে।
জ্বালানি তেলের দাম প্রতিমাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানে বাড়তি নজর দেবে সরকার।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, চড়া মূল্যস্ফীতি- উৎপাদনশীলতা হ্রাসের এ সময়ে যথাযথ সংস্কার ছাড়া অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে; এমন আশা করাটা বোকামি। বাজেটের আগে ঘটা করে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার কথা শোনা হয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেয় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মাদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ।