৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: মির্জা আব্বাস

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। অন্যথায় তার কিছু হলে পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি আবারও অনুরোধ জানাব, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা সময় চলে গেছে। আর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে যেন দেশনেত্রীকে বিদেশে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।’

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য এবং ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটা কথা আমি আবারও বলছি, এই অবস্থায় দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে আপনাদের কারও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখব না। আমি দুঃখিত আমি একটু বোধহয় আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছি। আমরা বুঝতে পারিনি। যেদিন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেদিন থেকেই তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তার ছিল তাকে হত্যা করার জন্যে। আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা বুঝেছি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা বলা শুরু করেছি তিনি অসুস্থ হয়েছেন।’

‘আসলে তাকে গ্রেপ্তার করে অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হবে- এটাই ছিল তাদের প্ল্যান। সেই প্ল্যান এখন কার্যকর করছে। আর না হলে কীভাবে অমানুষের মতো, অমানবিকের মতো একটা কথা বলেন যে, খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ নাই, আইনের জটিলতা আছে’ বলেন মির্জা আব্বাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে কোনো আইন কাজে লাগে না। যখন জীবন বাঁচানোর প্রয়োজন হয়, তখন তার জন্য যে চিকিৎসা দরকার, সেটা করা দরকার। এটা হলো মানবিক আইন। আন্তর্জাতিক জেনেভা কনভেনশনের একটা আইন আছে- সেই আইনে তিনি চিকিৎসা পেতে পারেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা আশা করছি সরকার এই সুযোগটা নেবেন। দেশনেত্রীকে বিদেশে তারা পাঠিয়েছেন-এই সুযোগটা তারা নিতে পারেন।’

কারাবন্দি নেতাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অতীত উদাহরণ তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গতকাল আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। আজকে দেখলাম তারা (সরকার) বলছে, আইনের জটিলতা আছে। আমি আজকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবের সময়ে আসম আবদুর রবকে জার্মান পাঠানো হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার সময় রাশেদ খান মেননকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন, তার লিভার টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল, তাকে সুস্থ করেছিলেন। আজকে তিনি (মেনন) আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন।’

তিনি বলেন, ‘হাজী সেলিম ব্যাংকক গেল, চিকিৎসা করে ফেরত এলো। সে বাইরে আছে, এখন সহিসালামতে আছে। ম খা আলমগীর (মহিউদ্দিন খান আলমগীর) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েও বাইরে ঘুরাফেরা করছে, মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বাইরে ঘুরাফেরা করছে। অথচ আমার নেত্রী কিছুই অপরাধ করেননি, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’

এই মিলাদ মাহফিলে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, আসাদুর রহমান খান, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com