ঢাকা: রাজধানীতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিসন্ত্রাসীদের চক্রান্ত আছে কিনা তা ভাবতে হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ এপ্রিল) গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
চলতি মাসে ঢাকায় বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটে সবচেয়ে বড় দুটি অগ্নিকাণ্ড হয়। এই দুই মার্কেটে লাগা আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের।
একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডেও ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এছাড়া অনেক মন্ত্রী-এমপিও ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
শনিবার গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় ফের অগ্নিকাণ্ডের বিষয় নিয়ে কথা বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
শেখ হাসিনা বলেন, নিউমার্কেট-বঙ্গবারজারসহ অন্যান্য এলাকায় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিসন্ত্রাসীদের কোনো চক্রান্ত আছে কিনা দেখতে হবে।
তিনি বলেন, এসব আগুনে যেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার পক্ষ থেকে তাদের ঈদ উপহার দিয়েছি।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দকে কাছের মানুষ এবং সমাজের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন পরিবার, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং সমাজের সকল গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই এবং সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।’
সরকারপ্রধান বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর এসেছে। ঈদ-উল-ফিতর আমাদের মধ্যে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ ও শান্তি।
গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশ উন্নতি করছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে। দুই বেলা খেতে পারছে। উন্নয়নের যে ধারা আমরা শুরু করেছি, তা অব্যাহত রাখতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মাসেতু করে দিয়েছি, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে দিয়েছে। এর ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে। আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষকে রাস্তায় আটকে থাকতে হতো। কিছুটা সময় লাগলেও এবার আগের মতো দিন-রাত মানুষকে রাস্তায় বসে থাকতে হয়নি।
মানুষজন রাজধানী বসে না থেকে গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান।