ঢাকা: বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয় না এমন দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে সংস্থাটির সদস্যদের নিয়ে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনকে হাসির খোরাক বলে আখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী।
সোমবার (৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে র্যাব।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেফতারের বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি, আমাদের তথ্যমতে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন; শিশুকে ব্যবহার করার জন্য। শিশুকে নির্যাতন করেছেন, অপব্যবহার (অ্যাবিউজ) করেছেন। দ্বিতীয় ইস্যু হলো, তিনি আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে তামাশা করেছেন। আমদের চেতনার সবচেয়ে বড় ধন স্বাধীনতা। ওটা নিয়ে তামাশা করবেন, তা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করবে না।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধ করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।
অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকের নাম দিয়ে অপরাধ করবেন, এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। সাংবাদিক হলেও অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। আমরা সংবাপত্রের স্বাধীনতা চাই, কিন্তু কেউ অপরাধ করে পার পাবেন না।
নির্বাচনে জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা বাংলাদেশ নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সংস্থাটির কোনো সহযোগিতা চায় না বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা আমাদের নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
মোমেন বলেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যদিও অনেক উন্নত দেশ এগুলো নেয় না। কিন্তু আমাদের এটা নিতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা তাদের (পর্যবেক্ষকদের) স্বাগত জানাই। তারা এসে দেখুক, আমাদের দেশে কত সুন্দর, স্বচ্ছ, আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন হয়। ওদের দেশে এত আনন্দময় পরিবেশে নির্বাচন হয় না।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন জোগাড় নিয়ে আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অর্থ কমছে-এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, যারা ওয়াদা করেছে, তাদের কাছ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ সংগ্রহ করেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দিন থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, এখনও করে যাচ্ছে। তাদের কোনো গাফিলতি নেই। কিন্তু অন্য অনেক দেশই আগে অনেক সাহায্য করেছে, এখন অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
এসময় তিনি আবারও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী বলে মন্তব্য করেন।