আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শীতকালীন শক্তিশালী ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঝড়ের সঙ্গে তুষারপাত ও বাতাস বয়ে যাওয়ায় প্রায় চার হাজার ৪০০ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটি।
ঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এসব ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয় দেশটি। এর মধ্যে শুক্রবার বাতিল করা হয়েছে ২১ শ টিরও বেশি ফ্লাইট।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা আরও অনেক কমে যেতে পারে। এমন অবস্থায় চার হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত ২ হাজার ৩০০টির মতো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বাতিল করা হয়েছে। আর শুক্রবার বাতিল করা হয়েছে দুই হাজ ১০০টির মতো ফ্লাইট।
america-3বড়দিনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে এখন ছুটির সময় চলছে। এ উপলক্ষে দেশটিতে আকাশপথে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুম হবে বলে অনেকে আশা করলেও সেই শীতকালীন ঝড়ে সেই আশা গুড়েবালি হয়ে যায়। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
রয়টার্স বলছে, ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি হাজার হাজার ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বিতও হচ্ছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৫০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের।
এছাড়া সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স বৃহস্পতিবার ৮৬৫টি ফ্লাইট বাতিল করেছে যা সংস্থাটির সকল নির্ধারিত ফ্লাইটের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এবং এয়ারলাইন্সটি ইতোমধ্যেই শুক্রবারের জন্য নির্ধারিত আরও ৫৫০টি ফ্লাইটও বাতিল করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বৃহস্পতিবার বলেছে, শীতকালীন ঝড়টি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমে তুষারঝড়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এতে করে শিকাগো, ডেট্রয়েট এবং মিনিয়াপলিস-সেন্ট পলে ভ্রমণে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট বাতিলের এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিনে শীতকালীন ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল। এতে হাজারো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছিল দেশটি। তার দুই সপ্তাহ আগে অপর একটি শীতকালীন ঝড়ের কবলে পড়েছিল উত্তর আমেরিকার পূর্বাঞ্চল। ঝড়ের কারণে জর্জিয়া থেকে কানাডা পর্যন্ত তুষারে ঢাকা পড়েছিল। এতে হাজারো ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এবং হাজার হাজার ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল।