আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন ও রাশিয়া সাত দিনব্যাপী যৌথ নৌমহড়া চালাবে। পূর্ব চীন সাগরে এই মহড়া চলবে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ খবর বলা হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে এ নৌমহড়া শুরু করছে দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র । এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর এই নৌমহড়া হয়। এবার পূর্ব চীন সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করা হবে।
তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো চীন-রাশিয়ার মধ্যে নৌসহযোগিতা জোরদার করা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে মস্কো বেইজিংয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমারা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে পশ্চিমাবিরোধী জোটের মূল সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ভারিয়াগ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার, মার্শাল শাপোশনিকভ ডেস্ট্রয়ার ও রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের দুটি কর্ভেট এই মহড়ায় অংশ নেবে। চীনের তরফ থেকে চারটি সারফেস ওয়ারশিপ ও একটি সাবমেরিন মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া উভয় দেশের এয়ারক্রাফটগুলোও মহড়ায় নেবে।
উল্লেখ্য, এমন এক সময়ে এই নৌমহড়ার ঘোষণা এলো, যার কয়েক দিন আগেই রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিন। ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে গত ১৬ ডিসেম্বর বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। ঐ দিনই সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন পুতিন।সূত্র-রয়টর্স