ঢাকা : রাজধানীর হাজারীবাগে ‘স্বামীর করাতের আঘাতে’ আহত গৃহবধূর মৃত্যু হয় ঢামেক হাসপাতালে।
সামিনার ভগ্নিপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার ভায়রা রাজা মিয়া নেশা করত; ছেলে-মেয়ের কোনো ভরণপোষণ করত না। আমার শ্যালিকা নিজে টাইলসের কাজ করে ছেলে-মেয়েকে মানুষ করছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়াতে আমার শ্যালিকার জীবন দিতে হলো।’
রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় স্বামীর করাতের আঘাতে আহত নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক স্বজন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে বুধবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর নাম সামিনা বেগম। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর সদরে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
স্বজনের দাবি, পয়লা এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘাস কাটার করাত দিয়ে সামিনার তলপেট কেটে ফেলেন স্বামী রাজা মিয়া। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নারীকে ওই রাতেই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সামিনার ভগ্নিপতি জাকির হোসেন জানান, তার ভায়রা রিকশা চালাতেন; শ্যালিকা করতেন টাইলসের কাজ। হাজারীবাগ বেড়িবাঁধের ঝাউচর মডেল টাউন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। পাশেই একটি বাসায় সামিনার শাশুড়ি ও ননদ থাকতেন।
তিনি জানান, ভায়রার আয়ের টাকার বেশিরভাগ খরচ হতো তার মা ও বোনের পেছনে। এ নিয়ে তার শ্যালিকার সঙ্গে ভায়রার ঝগড়া লেগে থাকত। গত শুক্রবার পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুজনের ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে রাজা করাত দিয়ে সামিনার তলপেটে জোরে টান মারেন। এতে সামিনার ভুঁড়ি বের যায়।
সামিনার ভগ্নিপতি আরও বলেন, ‘আমার ভায়রা রাজা মিয়া নেশা করত; ছেলে-মেয়ের কোনো ভরণপোষণ করত না। আমার শ্যালিকা নিজে টাইলসের কাজ করে ছেলে-মেয়েকে মানুষ করছে।
‘এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়াতে আমার শ্যালিকার জীবন দিতে হলো।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, সামিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।