ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা পুতিনের

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে এ বিরতি কার্যকর হবে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডে এবং স্পুটনিক এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের গোমেল অঞ্চলের অজ্ঞাত এক স্থানে তিন ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। আলোচনায় রাশিয়াকে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় রাজি করানো হয়, যেন বেসামরিক মানুষজন গোলযোগপূর্ণ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারে এবং তুমুল লড়াইয়ের জায়গাগুলোতে মানুষকে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলও পোডোলিয়াক জানান, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। আলোচনায় ক্রিমিয়া ও দোনবাসকে স্বীকৃতি দেওয়ার রুশ দাবি ইউক্রেন মানতে পারেনি বলেও জানানো হয়।

শুক্রবার (৪ মার্চ) ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিখাইলও পোডোলিয়াক টুইট বার্তায় বলেন, দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য যে ধরনের সফলতা দরকার ছিল; তা আসেনি। কেবল মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য একটি সফলতা আছে।

তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে নিতে আমরা যৌথভাবে একটি নিরাপদ মানবিক করিডোর স্থাপনে একমত হয়েছি। যাতে তীব্র লড়াই চলা অঞ্চলগুলোতে তাদের খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ সহজ হয়।

ইউক্রেনের এ কর্মকর্তা বলেন, কোনো কোনো স্থানে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার স্বার্থে অস্থায়ী অস্ত্রবিরত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ভবিষ্যতে দুপক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছেন। এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলাপ করতে চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ায় হামলা চালাচ্ছি না, তেমন কোনো পরিকল্পনাও নেই। আপনারা আমাদের কাছে কী চাচ্ছেন? পুতিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে বসুন।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।

নয় দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ যুদ্ধের দশম দিন। রাজধানী কিয়েভ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা। শহরটি ঘিরে রেখে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ হামলা শুরু পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com