বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তথাকথিত কবি, সাহিত্যিক ও অভিনয় শিল্পীরা অনুভূতিহীন হয়ে ১৫ আগস্টে শোক প্রকাশ করেছেন। বস্তুগত প্রাপ্তির লোভেই তারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘৩৬-জুলাই’-এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটি দলের প্রতিষ্ঠাতার বই লেখার পুরস্কার হিসেবে পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট সরকার একজনকে সর্বোচ্চ পুলিশ কর্মকর্তার পদে নিয়োগ দিয়েছিল। একইভাবে রানওয়ের পাশে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল শিল্প-সংস্কৃতি জগতের তারকাদেরও।
জুলাই বিপ্লবকে মহাকাব্যিক ঘটনা এবং নিহত, আহত, অংশগ্রহণকারী সবাই ঐতিহাসিক চরিত্র আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সব দ্রোহের সমষ্টিগত বহিঃপ্রকাশ হলো জুলাই আন্দোলন। ক্ষমতায় থাকাকালে জনগণের অর্থ নিজের স্বার্থে খরচ করেছিলেন শেখ হাসিনা। এতে মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।
এ সময় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, এমন একটা বাংলাদেশ দেখতে চাই, রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন কখনো জনগণের বিরুদ্ধে না দাঁড়ায়।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে মতামত চেয়ে জুলাই জাতীয় সনদের যে পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছিল, যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণের পর তা নিয়ে লিখিত মতামত দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঐকমত্য কমিশনে সেটি জমা দিয়েছে দলটি। জানা গেছে, নির্বাচনের স্বার্থে যতটা ছাড় দেওয়া দরকার, মতামতে ততটা ছাড় দিয়েছে বিএনপি।
দলটির এখন প্রত্যাশা, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণীত ও বাস্তবায়িত হবে। তবে অঙ্গীকারনামায় থাকা কয়েকটি প্রস্তাবে দলীয় ভিন্নমত থাকলেও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এর আইনি বৈধতা এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে বলে বিশ্বাস বিএনপির। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশন আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে বৈঠকের পরিকল্পনা করছে, সেখানে এ ব্যাপারে তাদের মতামত তুলে ধরবে দলটি।