গণমাধ্যমকে মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া ব্যক্তিও নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, গণমাধ্যমকে মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেওয়া ব্যক্তিরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপরও ভিসানীতি প্রয়োগ হতে পারে- মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে চিঠি দেয় সম্পাদকদের শীর্ষ সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ।

চিঠিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য যথেষ্ট স্বচ্ছ নয় এবং এ বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চওয়া হয়। সংগঠনটির সভাপতি মোজাম্মেল হক (বাবু) ও সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ এ বিবৃতি প্রকাশ করে। গতকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সেই চিঠির জবাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন পিটার হাস।

মোজাম্মেল হক এবং ইনাম আহমেদকে লেখা চিঠির জবাবে বলা হয়, এডিটর্স গিল্ড থেকে চিঠি দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সম্প্রতি চ্যানেল ২৪-এ এক সাক্ষাৎকারে আমার দেওয়া বক্তব্যকে আরও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার সুযোগের প্রশংসা করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের অধিকার এবং বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যে কোনো সরকারের সমালোচনামূলক মতামত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে উদ্ধৃত করে পিটার হাস লিখেন, ব্লিঙ্কেন গত ২৪ মে ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি নিয়ে বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবার দায়িত্ব রয়েছে—ভোটার, রাজনৈতিক দলগুলো, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সবার। সমানভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে এসব প্রতিষ্ঠান যেন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে।

তিনি বলেন, সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন মার্কিন ভিসানীতিটি সম্পর্কে যোগ করে বলেছেন, এটি যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা হবে।

পিটার হাস আরও বলেন, এর মধ্যে যে কেউ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, যারা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেয় এবং যদি সেই পদক্ষেপগুলো গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সরকার যখন তাদের রিসোর্স এবং সংস্থাকে ব্যবহার করে সেন্সরশিপ, ইন্টারনেট সংযোগকে সীমাবদ্ধ ও সাংবাদিকদের হয়রানি করবে তখন আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকবো।

রাষ্ট্রদূত লিখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধেও আমরা কথা বলবো এবং আমাদের ভিসানীতি প্রয়োগ করবো।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com