নাটোর : নাটোরের লালপুরে আগুনে পুড়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মায়ের পর তার মেয়েও মারা গেছেন। আগুন নিভাতে এসে ইয়াকুন নামে আরও এক নারী অগ্নিদগ্ধ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া এলাকায় রমজান আলীর বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
লালপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা হলেন— উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শাহানাজ (৪৫) এবং তার ৮ বছরের কন্যা শিশু মাইশা।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের জনৈক মৃত রমজান আলীর বাড়িতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরে থাকা রমজান আলীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে শাহানাজ (৪৫) অগ্নিদগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় নিহতের ৮ বছরের এক মেয়ে মাইশা অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে আগুন নিভাতে এসে ইয়াকুন নামে এক নারী অগ্নিদগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা শিশুসহ দুইজনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় শিশু মাইশার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে হাসপাতালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে শিশু মাইশারও মৃত্যু হয়।
লালপুর ফায়ার সাভিস কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাতির আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
লালপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। সম্পর্কে তারা মা ও মেয়ে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুের মামলা হয়েছে।